জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠের ওয়ানডে সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন মাশরাফি। এই সিরিজেই তার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সাকিব।
২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় মোহাম্মদ আশরাফুলকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অধিনায়কত্ব পান মাশরাফি। আর সহ-অধিনায়ক করা হয় সাকিব আল হাসানকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মাশরাফি। সফরে বাকি দিনগুলোতে দলকে নেতৃত্ব দেন সাকিব।
সুস্থ হয়ে ওঠার পর ২০১০ সালের জুলাইয়ে ইউরোপ সফরে (ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড) নেতৃত্ব ফিরে পান মাশরাফি। অক্টোবরে দেশের মাটিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও নেতৃত্বে ছিলেন দেশসেরা এই পেসার।
কিন্তু প্রথম ম্যাচেই চোট পান মাশরাফি। ৪-০ ব্যবধানে জেতা সেই সিরিজে বাকি ম্যাচগুলোতে আবারো নেতৃত্ব দিতে হয় সাকিবকে। পরে ৩১ ডিসেম্বর সাকিবকে অধিনায়ক ও তামিম ইকবালকে সহ-অধিনায়ক ঘোষণা করে বিসিবি।
২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে ব্যর্থতার পর নেতৃত্ব হারান সাকিব ও তামিম। তাদের জায়গায় আসেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পরে সহ-অধিনায়কত্ব হারান মাহমুদুল্লাহ।
ক্রিকেটে চলতি বছরে মোটেও ভালো কাটছে না বাংলাদেশের। তাই টেস্ট ও ওয়ানডেতে আলাদা নেতৃত্ব বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। তার অংশ হিসেবেই আবার নেতৃত্বে ফিরলেন মাশরাফি-সাকিব।
এ পর্যন্ত ৭টি ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। এতে ৩টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ আর হেরেছে ৪টিতে। আর ৩৭টি ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দেন মুশফিক। এর ১১টিতে জিতেছে বাংলাদেশ আর হেরেছে ২৪টিতে।
টেস্ট দলের নেতৃত্বে থাকছে মুশফিকই। আর এই সংস্করণে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে তামিম ইকবালকে।