দুরন্ত মেসি-নেইমারে বার্সেলোনার বিশাল জয়

আগের ম্যাচে গোল করতে না পারার হতাশা কাটাতেই যেন একসঙ্গে জ্বলে উঠলেন বার্সেলোনার তারকারা। হ্যাটট্রিক করলেন নেইমার, জোড়া গোল করলেন লিওনেল মেসি। আর এই দুই তারকার দারুণ খেলায় গ্রানাদাকে গোলবন্যায় ভাসালো বার্সেলোনা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2014, 06:21 PM
Updated : 27 Sept 2014, 06:21 PM

শনিবার ঘরের মাঠ ক্যাম্প নউতে লা লিগার ম্যাচে ৬-০ গোলে জিতেছে স্পেনের অন্যতম সফল দলটি।

লিগের প্রথম চার ম্যাচের সবকটিতে জেতা বার্সেলোনা গত ম্যাচে হঠাৎ করেই খেই হারিয়ে বসে। গত বুধবার মালাগার জালে বল পাঠানো তো দূরের কথা, নিশ্চিত কোনো সুযোগ তৈরি করতেই ব্যর্থ হয় মেসি-নেইমাররা। ফলে গোলশূন্য ড্রয়ের হতাশাই ওই ম্যাচে মাঠ ছাড়ে তারা।

একেতো ওই ড্রয়ের ধাক্কা, তার ওপর আবার প্রথম পাঁচ রাউন্ডে প্রতিপক্ষ গ্রানাদার মাত্র তিন গোল হজম করার চিত্র বার্সেলোনার কোচ লুইস এনরিকেকে দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল। তবে মেসির আর নেইমারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে প্রথমার্ধেই সব চিন্তা দূর হয়ে যায়।

২৬তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড নেইমার। অতিথিদের এক খেলোয়াড় বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে আড়াআড়ি পাস দেন। ওই সময় নেইমার ক্ষিপ্রতার সঙ্গে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে শট নেন। বলটি প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়।

প্রথমার্ধ শেষের দুই মিনিট আগে ব্যবধান বাড়ান ইভান রাকিতিচ। লিওনেল মেসির ক্রসে হেড করে গোলটি করেন ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার।

আর বিরতির আগমুহূর্তে ব্যবধান ৩-০ করে জয়টাও মোটামুটি নিশ্চিত করে ফেলেন নেইমার। ডি বক্সের বাইরে থেকে মেসির আলতো করে বাড়ানো বল দৌড়ে এসে ধরার চেষ্টা করেছিলেন গোলরক্ষক কিন্তু আয়ত্ত্বে নিতে পারেননি তিনি। ওখান থেকে বল পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে ডান পায়ের শটে লক্ষভেদ করেন ব্রাজিল বিশ্বকাপে চার গোল করা নেইমার।

দ্বিতীয়ার্ধের ১৭তম মিনিটে ম্যাচে নিজের গোলের খাতা খোলেন মেসি। ডি বক্সের মধ্যে ডান দিক থেকে দেয়া দানি আলভেসের ক্রসে হেড করে বল জালে পাঠান আর্জেন্টিনার এই তারকা।

এর চার মিনিট পরই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন নেইমার। সহায়তার ভূমিকায় টানা চারবারের ফিফা ব্যালন ডি'অর জয়ী মেসি। ডি বক্সের বাঁ দিক থেকে দেয়া মেসির পাস পেয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান নেইমার।

আর নির্ধারিত সময় শেষের ৯ মিনিট আগে ব্যবধান ৬-০ করেন মেসি। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।