নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে প্রথমার্ধে ভালো খেলতে পারেনি লিভারপুল। স্ট্রাইকার মারিও বালোতেল্লি ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থেকেও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। তারই ডান পায়ের দুটি শট পোস্ট ঘেষে বাইরে চলে যায়।
প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ নষ্ট করার মিছিলে নাম আছে রাহিম স্টার্লিং, জর্ডান হেন্ডারসন আর আলবের্তো মরেনোরও।
প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন এভারটনের রোমেলু লুকাকুও।
তবে বিরতির পর গ্যালারির সমর্থকদের স্বস্তি এনে দেন অধিনায়ক নিজেই। এভারটনের পেনাল্টি বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক জেতেন মারিও বালোতেল্লি। ৬৫তম মিনিটে দারুণ দক্ষতায় রক্ষণ দেয়ালের ওপর দিয়ে বলটি জালে পাঠান জেরার্ড। গোলরক্ষক টিম হাওয়ার্ড বল হাতে লাগালেও ঠেকাতে পারেননি।
লিভারপুল প্রথম গোল পাওয়ার মিনিট দুয়েকের মধ্যেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত। দ্রুত গতির স্টার্লিংয়ের বাঁ দিক থেকে পাঠানো ক্রসে করা মারিও বালোতেল্লির ভলি ফিরিয়ে দেয় ক্রসবার।
গ্যালারিতে উৎসবের আয়োজন সাজাচ্ছিল লিভারপুলের সমর্থকরা। কিন্তু যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে অ্যানফিল্ডকে স্তব্ধ করে এভারটনকে সমতায় ফেরান জাগিয়েলকা। ডি বক্সের ভেতরে ঠিকভাবে বল বিপদমুক্ত করতে পারেননি লিভারপুলের ডিফেন্ডাররা। বক্সের বাইরে বল পেয়ে জোড়ালো শটে জাগিয়েলকা বল পাঠিয়ে দেন লিভারপুলের জালে।
এই ড্রয়ের পর ৬ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট হলো লিভারপুলের। সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করলেও এরপর সময় খুব ভালো যাচ্ছে না 'অল রেড' নামে পরিচিত দলটির।
ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেই হারে লিভারপুল। এরপর টটেনহ্যামের বিপক্ষে জিতলেও পর পর দুটি ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলা ও ওয়েস্ট হ্যামের কাছে হারে তারা।
এই ড্রয়ের পর এভারটনের পয়েন্ট ৬ ম্যাচে ৬।