নেইমারে রক্ষা বার্সেলোনার

লিওনেল মেসি ও নেইমারের নৈপুণ্যে লা লিগায় জয়ের ধারা ধরে রেখেছে বার্সেলোনা। আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে দুটি গোলই করেন ব্রাজিলের তারকা নেইমার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2014, 04:26 PM
Updated : 13 Sept 2014, 04:26 PM

নেইমারের দুটি গোলেই অবদান রাখেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসি। দ্বিতীয় গোলটি তো মেসি জাদুরই ফল।

ম্যাচটা ঘরের মাঠ ক্যাম্প নউয়ে হলেও হলুদ আর লাল দাগের 'অ্যাওয়ে জার্সি' পরে খেলতে নামে বার্সেলোনা। কাতালুনিয়া প্রদেশের স্বাধীনতার সমর্থনে তাদের পতাকার রঙে তৈরি জার্সি পরেছিল মেসিরা। স্টেডিয়ামে উপস্থিত বার্সেলোনার সমর্থকদেরও হতাশ হতে হয়নি।

তবে গত রাউন্ডে ভিয়ারিয়ালের মাঠে একমাত্র গোলে কষ্টের জয় পাওয়া বার্সেলোনাকে নিজেদের মাঠেও ঘাম ঝরাতে হয়েছে। প্রথমার্ধে প্রায় শেষ পর্যন্ত বলার মতো তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি তারা।

৪১তম মিনিটে একটা সুযোগ পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু মুনির এল হাদ্দাদির বাড়ানো বলে ডি বক্সের মাঝ থেকে নেয়া মেসির বাঁ পায়ের শটটি ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার।

বিরতির পরও বার্সেলোনা বল দখলে এগিয়ে থেকেও গোলের নিশ্চিত সুযোগ পাচ্ছিল না।

৬৩তম মিনিটে মুনিরের বদলি হিসেবে নেইমারকে মাঠে নামান কোচ এনরিকে। ব্রাজিল তারকা আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে আক্রমণের ধার।

অবশেষে নির্ধারিত সময়ের ১১ মিনিট বাকি থাকতে আথলেতিকের জালে বল পাঠান নেইমার। ডি বক্সের বাইরে থেকে দেয়া মেসির পাস পেয়ে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলের তারকা নেইমার।

পাঁচ মিনিট বাদে নেইমারের দ্বিতীয় গোলেও মেসির অবদান। ডান দিক থেকে বল পায়ে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়কে এড়িয়ে দুর্দান্ত গতিতে ছুটে গিয়ে ডি বক্সের মাঝখানে থাকা নেইমারকে পাস দেন মেসি। ওখান থেকে নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বিশ্বকাপে চার গোল করা নেইমার।

চোট কাটিয়ে ফেরা নেইমারের বদলে ১৯ বছর বয়সী স্ট্রাইকার মুনিরকে প্রথম একাদশে রাখেন কোচ লুইস এনরিকে। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষেও নেইমারের আগে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন স্পেনের এই তরুণ তারকা। অবশ্য ক্যাম্প নউতে বার্সেলোনার ত্রাণকর্তা হিসেবে আসায় পরের ম্যাচ থেকে প্রথম একাদশে থাকার দাবি করতেই পারেন ব্রাজিলের সেরা তারকা নেইমার।