লিগে আর্সেনালের এটা টানা তৃতীয় ড্র। আর গত রাউন্ডে স্টোক সিটির কাছে একমাত্র গোলে হারের পর ফের পয়েন্ট হারালো ম্যানচেস্টার সিটি।
শনিবার ঘরের মাঠে শুরুটা দারুণ করেছিল আর্সেনাল। অভিষিক্ত স্ট্রাইকার ড্যানি ওয়েলব্যাক ও আলেক্সিস সানচেসের নৈপুণ্যে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে আসা ওয়েলব্যাক ১৩তম মিনিটেই গোল পেয়ে যেতেন। তার শট সিটির গোলরক্ষক জো হার্টকে পরাস্ত করেছিল; কিন্তু বল গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে।
এর কয়েক মিনিট আগে গোলের আরেকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এই মৌসুমেই বার্সেলোনা থেকে আর্সেনালে যোগ দেয়া চিলির ফরোয়ার্ড সানচেস।
সিটি অবশ্য প্রথম সুযোগেই বল জালে পাঠায়। ২৮তম মিনিটে দারুণ দক্ষতায় সিটিকে এগিয়ে দেন সের্হিও আগুয়েরো। বাঁ দিক থেকে হেসুস নাভাসের নীচু ক্রসটি ধরতে আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার আগুয়েরো দৌড়ে ছাড়িয়ে যান ফরাসি ডিফেন্ডার লরেন্ত কোসিয়েলনিকে। এরপর দারুণ টোকায় এগিয়ে আসা গোলরক্ষক ভয়চিখের মাথার উপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে।
ওই গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া আর্সেনাল জ্যাক উইলশেয়ারের গোলে ৬৩তম মিনিটে সমতায় ফেরে। ওয়েলসের মিডফিল্ডার রামজির পাস থেকে দারুণ দক্ষতায় গোলটি করেন তিনি।
১১ মিনিট পর লন্ডনের ক্লাবটি এগিয়েও যায়। রামজির ক্রস হেড করে দূরে পাঠিয়েছিলেন সিটির অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানি। কিন্তু উইলশেয়ার হেড করে বল আবার তা ডি বক্সে পাঠান। বল পেয়ে অরক্ষিত সানচেস প্রথম ছোঁয়াতেই বুটের পাশ দিয়ে করা ভলিতে ডান কোনা দিয়ে বল জালে পাঠান। আর্সেনালের হয়ে টানা তিন ম্যাচে গোল পেলেন চিলির এই ফরোয়ার্ড।
বেশিক্ষণ অবশ্য এগিয়ে থাকতে পারেনি আর্সেনাল। ৮৩তম মিনিটে মার্তিন দেমিচেলিসের গোলে ম্যাচে ফেরে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ১২ গজ দূর থেকে আর্জেন্টিনার এই ডিফেন্ডারের নেয়া হেডটি ঠেকাতে বাঁদিকে লাফিয়ে পড়েন ভয়চিখ। বলে হাতও লাগান কিন্তু দলকে বাঁচাতে পারেননি পোল্যান্ডের এই গোলরক্ষক।
যোগ করা সময়ে গোল করার দুটি সুযোগ পেয়েছিল সিটি কিন্তু সাফল্য পায়নি তারা। এর মধ্যে একবার তো বল গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে।