পদকের স্বপ্ন জলিল-জিয়াদের

এশিয়ান গেমস কাবাডিতে কঠিন গ্রুপেই পড়েছে বাংলাদেশ। তবে প্রতিপক্ষ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে কঠিন গ্রুপের চ্যালেঞ্জ জিতেই এশিয়ান গেমসে থেকে পদক নিয়ে দেশে ফিরতে চায় বাংলাদেশ পুরুষ কাবাডি দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2014, 01:45 PM
Updated : 13 Sept 2014, 01:45 PM

দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে এশিয়ান গেমসে কাবাডিতে বাংলাদেশের গ্রুপে এবার আছে শক্তিশালী ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড।

২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ‘এ’ গ্রুপে আব্দুল জলিলের ছাত্রদের এশিয়ান গেমস অভিযান শুরু হবে।

২০১০ সালের এশিয়ান গেমসের সোনা জয়ী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করতে হবে বলে ভয় পাচ্ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক জিয়া। তার মনে শুধুই নিজেদের সেরাটা উপহার দেয়ার ভাবনা।

“পাকিস্তানকে হারাতে পারলে পদকের জন্য আমরা লড়াই করতে পারব। প্রতিপক্ষ কে, তা নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। আসলে অসম্ভব বলে কিছু নেই।”

অধিনায়কের মতোই আত্মবিশ্বাসী আরদুজ্জামান। জিয়ার সঙ্গে ভারতে প্রো-কাবাডি খেলে আসা বাংলাদেশ পুলিশের এই খেলোয়াড়ও দারুণ আশাবাদী।

“প্রো-কাবাডিতে নানা দেশের খেলোয়াড়রা খেলেছেন। তাদের খেলা কাছ থেকে দেখেছি। এশিয়ান গেমসে আমাদের প্রতিপক্ষদের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। আমার চোখে আমরাও কারো চেয়ে কোনো অংশে কম নই।”

২০১০ সালে গোয়াংজো এশিয়ান গেমসের পর বাংলাদেশ কাবাডি দল আর কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশ নেয়নি। পর্যাপ্ত অনুশীলনও করতে পারেনি তারা। সীমাবদ্ধতা ছিল সুযোগ-সুবিধাও। মাঝের সময়টাতে পুরো দল নিয়ে টানা অনুশীলন করতে পারেননি কোচ আব্দুল জলিল। এত সীমাবদ্ধতার পরও স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

“গোয়াংজোর পর আমরা অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ধরে রাখতে পারিনি। অভিজ্ঞ ও নতুনদের নিয়ে দল সাজিয়েছি। তবে আমি আশা করি, ছেলেরা কিছু করে দেখাবে।”

এশিয়ান গেমসে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের জেতা ৯টি পদকের ৬টিই আসে কাবাডি থেকে। এই ৬টি পদকের ৩টি রূপা ও ৩টি ব্রোঞ্জ। এর মধ্যে পুরুষ দল পায় ৩টি রূপা ও ২টি ব্রোঞ্জ।

২০১০ সালে পুরুষ দল শূন্য হাতেই ফিরেছিল। ব্রোঞ্জ জিতে কাবাডিতে পদক জয়ের রেওয়াজটা ধরে রাখে মেয়েরা।