সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে সোমবার মোট ৩৬টি ইভেন্টের ফাইনাল হয়েছে।
২০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ১৮-২০ বছর যুব বিভাগে বিকেএসপির মো. আরিফুল ইসলাম ২ মিনিট ৬.৪২ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছেন। ২০১১ সালে বিকেএসপির পলাশ চৌধুরী গড়া ২ মিনিট ৬.৫০ সেকেন্ড টাইমিংয়ের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি।
২০০ মিটার বাটারফ্লাই ১৮-২০ বছরের মেয়েদের বিভাগে সোনা জিতেছেন বগুড়া সুইমিং সেন্টারের মরিয়ম খাতুন। ২ মিনিট ৫৪.৬১ সেকেন্ড সময় নিয়ে তিনি লাবনী আক্তার জুঁইয়ের বাংলাদেশ আনসারের হয়ে ২০০৬ সালে গড়া (২ মিনিট ৫৯.৪৪ সেকেন্ড) রেকর্ড ভেঙেছেন।
২০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ১৩-১৪ বছর বালক বিভাগে বিকেএসপির জাহিদুল ইসলাম ২ মিনিট ১৩.১২ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ আনসারের হয়ে নিয়ামুল হকের গড়া ২ মিনিট ১৫.২২ সেকেন্ড ছিল এই ইভেন্টের আগের সেরা টাইমিং।
১১-১২ বছর বালিকা বিভাগে ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে নিজের গড়া গত বছরের রেকর্ড ভেঙেছেন (১ মিনিট ২৭.৬০ সেকেন্ড) মুক্তি খাতুন।
২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলের ১৩-১৪ বছর বালক বিভাগে নয়ন আলী ২ মিনিট ২৯.৩১ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন। ১৯৯৮ সালে আনসারের হয়ে নিয়ামুল হকের গড়া (২ মিনিট ২৯.৬৯ সেকেন্ড) ভেঙেছেন বগুড়া সুইমিং সেন্টারের এই সাঁতারু।
প্রথম দিনের শেষ বিকেলে আরো একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন মরিয়ম খাতুন। ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলের ১৮-২০ বছরের মেয়েদের বিভাগে ৬ মিনিট ৩.৮৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন বগুড়ার এই সাঁতারু। এই ইভেন্টের আগের রেকর্ডটি ছিল আনসারের ববিতা খাতুনের। ২০০৯ সালে ৬ মিনিট ১৫.৬৬ সেকেন্ড টাইমিং করে জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন ববিতা।
দলীয় পদক তালিকায় প্রথম দিন শেষে সবার ওপরে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিকেএসপি। ২৬টি সোনা, ২০টি রূপা ও ১২টি ব্রোঞ্জসহ ৫৮টি পদক নিয়ে শীর্ষে তারা। দ্বিতীয় বাংলাদেশ আনসার; ৫টি সোনা, ৮টি রূপা ও ৭টি ব্রোঞ্জসহ ২০টি পদক পেয়েছে তারা। ৫টি সোনা, ২টি রূপা ও ১টি ব্রোঞ্জ নিয়ে বগুড়া সুইমিং ক্লাব আছে তৃতীয় স্থানে।
এবারের প্রতিযোগিতায় ৫টি বিভাগে ১৫ টি জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ৩৪ টি সুইমিং ক্লাব, বিকেএসপি, আনসার ও ১টি শিক্ষা বোর্ডসহ মোট ৫২টি দল অংশ নিচ্ছে।