লিগে তিনটি ম্যাচ খেলেও জয়ের দেখা পেল না ইউনাইটেড; এটা তাদের দ্বিতীয় ড্র। প্রথম ম্যাচে সোয়ানসি সিটির কাছে ঘরের মাটিতে ২-১ গোলে হারের পর গত সপ্তাহে সান্ডারল্যান্ডের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছিল ‘রেড ডেভিলস’ নামে পরিচিত দলটি।
গত সপ্তাহে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পাড়ি জমানো আনহেল দি মারিয়াকে এই ম্যাচে প্রথম একাদশেই মাঠে নামান কোচ লুইস ফন গাল। ১৫তম মিনিটে গোলের ভালো একটা সুযোগও তৈরি করেছিলেন আর্জেন্টিনার ওই মিডফিল্ডার। কিন্তু তার ক্রস থেকে স্ট্রাইকার রবিন ফন পের্সির বাঁ পায়ের শটটি ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর কোনো ঝলক দেখাতে পারেননি দি মারিয়া। ওই সময়ে তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও। বল দখলে পের্সি-রুনিরা এগিয়ে থাকলেও স্বাগতিক রক্ষণের সামনে বারবারই তাদের আক্রমণগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে।
পুরো প্রথমার্ধ জুড়ে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইউনাইটেড গোলরক্ষককে অনেকবার পরীক্ষায় ফেলে জোনস ও তার সতীর্থরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তারাও গোল করতে ব্যর্থ হওয়ায় গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
তবে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নেমে উল্টো তৃতীয় মিনিটেই পিছিয়ে যেতে পারতো ইউনাইটেড। স্বাগতিকদের মিডফিল্ডার ডেভিড জোনসের জোরালো ফ্রি কিকটি ঠেকানোর আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন অতিথি গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া। কিন্তু বলটি ক্রসবারে বাধা পায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই স্বাগতিক রক্ষণে চাপ বাড়াতে শুরু করে ইউনাইটেডের আক্রমণভাগ। ৫২তম মিনিটে ভালো একটা আক্রমণের সূচনা করে তারা। ওয়েইন রুনির পাস পেয়ে ডি বক্সের বাঁ দিক দিয়ে দ্রুত ঢুকতে যাচ্ছিলেন দি মারিয়া কিন্তু রক্ষণের বাধার মুখে পড়ে যান তিনি।
ওই সময় পায়ে ব্যথা পান দি মারিয়া। ফলে বড় কোনো চোট এড়াতে খানিক পরই তাকে তুলে নেন ফন গাল।
নির্ধারিত সময় শেষের ১৩ মিনিট আগে ভালো একটা সুযোগ নষ্ট করেন অধিনায়ক রুনি। ডি বক্সের মধ্যে অরক্ষিত অবস্থায় বল পেয়েও কর্নারে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন তিনি।