রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক কাসিয়াসের প্রশংসায় গতবারের ফিফা ব্যালন ডি’অর জয়ী রোনালদো বলেন, “বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক হওয়ায় দৌড়ে ইকের কখনই থামেনি, সবসময়ই সে বিশ্ব-মানের ছিল।”
১৯৯৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদের মূল দলে জায়গা করে নেয়ার পরের বছর জাতীয় দলেও অভিষেক হয় কাসিয়াসের।
তারপর থেকে কাসিয়াসের প্রতিভা নিয়ে কখনই তেমন কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। একে একে দুই জায়গাতেই অধিনায়কের দায়িত্ব পান তিনি এবং সাফল্যের শীর্ষে জায়গা করে নেন; গোলপোস্টের নিচে হয়ে ওঠেন অতন্দ্র প্রহরী।
সাফল্যে ভরা এক যুগ পার করার পর ২০১২-১৩ মৌসুমে রিয়ালের তখনকার কোচ জোসে মরিনিয়োর অধীনে প্রথম একাদশে জায়গা হারান কাসিয়াস। বর্তমান কোচ কার্লো আনচেলত্তির সময়েও লা লিগার প্রথম একাদশে অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরাবরই ছিলেন কোচদের সেরা পছন্দ।
তার চূড়ান্ত বিপর্যয়ের শুরুটা যেন হয় সেখানেই। গত ২৪ মে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ইউরোপ সেরার ফাইনালে তার ভুলেই পিছিয়ে পড়ে রিয়াল, তার এগিয়ে আসার ভুল কাজে লাগিয়ে গোল করেন আতলেতিকোর দিয়েগো গোদিন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য যোগ করা সময়ের সমতাসূচক গোল এবং অতিরিক্ত সময়ে ৩ গোল করে ৪-১ ব্যবধানে জিতে দশমবারের ইউরোপ সেরা হয় রিয়াল। তারপরও কাসিয়াসের ওই ভুলটা ছিল চোখে পড়ার মতো।
কাসিয়াসের পড়তি ফর্মের জাজ্বল্যপ্রমাণ প্রমাণ আছে ব্রাজিল বিশ্বকাপে। গ্রুপ পর্ব থেকে আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেনের ছিটকে পড়ার পেছনে কাসিয়াসের ভুলগুলোর দায় কম নয়।
তবে সবকিছুর পরেও ভক্তদের আশা, নিজেকে আবারো খুঁজে পাবেন দেশের হয়ে বিশ্বকাপ, দুটি ইউরো আর রিয়ালের হয়ে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও পাঁচটি লা লিগা শিরোপা জেতা কাসিয়াস।