বায়ার্নকে হারিয়ে এগিয়ে রইলো রিয়াল

শেষ চারের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে একমাত্র গোলে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে রইলো রিয়াল মাদ্রিদ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2014, 09:00 PM
Updated : 23 April 2014, 09:00 PM

ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাবেউয়ে রিয়ালের জয়ের নায়ক ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। জয়সূচক গোলটি করেন তিনি। আগামী মঙ্গলবার ফিরতি লেগ হবে বায়ার্নের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায়।

২০১১-১২ মৌসুমে শেষ চারের প্রথম লেগে বায়ার্নের মাঠে ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল রিয়াল। অবশ্য ফিরতি লেগে একই ব্যবধানে জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইউরোপের সফলতম দলটি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ সমতার পর টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে উঠেছিল জার্মানির ক্লাবটি।

বুধবার সান্তিয়াগো বার্নাবেউয়ের ম্যাচটা তাই রিয়ালের জন্য ছিল দুই বছর আগের ঐ হারের বদলা নেওয়ার লড়াই। তবে সে লক্ষ্যে ম্যাচের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না স্বাগতিকদের। বল দখলের লড়াইয়েই রীতিমত ধুকছিল তারা। সাফল্য না মিললেও প্রথমার্ধের পুরোটা সময় রিয়ালের রক্ষণকে ব্যস্তই রেখেছিল রিবেরি-রোবেনরা।

তবে ১৯তম মিনিটে বাজীমাত করে রিয়াল। মাঝমাঠের একটু সামনে থেকে রোনালদো লম্বা পাস দেন প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ঢুকে পড়া ফাবিও কোয়েন্ত্রাওকে। ডিফেন্ডার কোয়েন্ত্রাও আড়াআড়ি বল বাড়ান বেনজেমাকে লক্ষ্য করে। ছয় গজ দূর থেকে বিনা বাধায় লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি ফরাসি স্ট্রাইকার বেনজেমা।

যদিও একটু আগেই গোল খেয়ে বসতো স্বাগতিকরাই। বায়ার্ন মিডফিল্ডার টনি ক্রসের একটি জোরালো শট রিয়ালের পর্তুগিজ ডিফেন্ডার পেপের গায়ে লাগলে বেঁচে যায় রিয়াল।

আট মিনিট বাদে ‘কাউন্টার অ্যাটাকে’ সহজতম সুযোগ পেয়েছিলেন ঊরুর চোট কাটিয়ে অনেকদিন বাদে খেলতে নামা রোনালনো। কিন্তু বেনজেমার পাসে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন বর্ষসেরা ফুটবলার রোনালদো। বিরতির চার মিনিট আগে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন আনহেল দি মারিয়া।

প্রথমার্ধের তিন-চতুর্থাংশ সময় বল দখলে রাখলেও উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ পায়নি গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেও অধিকাংশ সময় বল দখলে রাখে অতিথি দল। তবে প্রথমার্ধের তুলনায় এই অর্ধে অনেকটা সময় মাঠ দখলে রেখেছিল রিয়ালও। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিল না।

শেষে ৭৩তম মিনিটে চোট থেকে ফেরা রোনালদোর বদলে কোচ কার্লো আনচেলত্তি মাঠে নামান গ্যারেথ বেলকে। শেষপর্যন্ত তাতেও অবশ্য দ্বিতীয় সাফল্য মেলেনি।

নির্ধারিত সময় শেষের ৭ মিনিট আগে সমতা ফেরানোর ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিল বায়ার্ন। তবে ডি বক্সের মাঝখান থেকে মারিও গোটসের নেয়া জোরালো শটটি ঠেকিয়ে দেন ইকার ক্যাসিয়াস।