গ্রিসে টিকে থাকাই দায় কোচদের

সাফল্য না পেলে পেশাদার ফুটবলের কোচদের উপর খড়্গ নেমে আসাটা স্বাভাবিকই । তবে গ্রিসের কোচরা এটাকে নিয়তি বলেই মেনে নিতে পারেন। দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব ফুটবলে কোচরা চাকরিতে টিকে থাকতে পারেন গড়ে মাত্র চার মাস।

স্পোর্টস ডেস্ক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2014, 11:06 AM
Updated : 18 April 2014, 11:06 AM

উয়েফার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপে গ্রিসেই গড়ে কোচদের স্থায়িত্ব সবচেয়ে কম। এ ক্ষেত্রে পুরো ইউরোপের গড় ১৭ মাস।

ইউরোপের বড় ৫টি লিগের মধ্যে ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডের কোচেদের চাকরি সবচেয়ে বেশি স্থিতিশীল। এই দুই দেশের লিগের কোচদের স্থায়িত্ব গড়ে ২৪ মাস।

চাকরির স্থায়িত্বের দিক থেকে বড় ৫টি লিগের মধ্যে এর পর রয়েছে জার্মানির বুন্দেসলিগা ও ইতালির সেরি আর কোচেরা। এই দুই লিগের কোচেদের চাকরির গড় মেয়াদ যথাক্রমে ২২ মাস ও ১৯ মাস।

তবে স্পেনের লা লিগার কোচদের গড় স্থায়িত্ব মাত্র ১১ মাস।

বড় ৫টি লিগের বাইরে গেলে ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে শান্তিতে আছেন উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগের কোচেরা। সেখানে শেকড় গেড়ে বসার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানে কোচদের চাকরির স্থায়িত্ব গড়ে ৭ বছর ২ মাস।

ইউরোপের দেশগুলোর শীর্ষ লিগের ৬২৪টি ক্লাবে গত নভেম্বরে কোচদের অবস্থা নিয়ে নিয়ে এই গবেষণাটি চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, সে সময় গ্রিসের ১৮জন কোচের কারোরই চাকরি মেয়াদ এক বছর পার হয়নি।

জর্জিয়া আর রোমানিয়ার অবস্থাও ভালো না। কোচেরা এখানে গড়ে ৫ মাস নিজের পদে বহাল থাকতে পারেন। সাইপ্রাস, ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ ও মেসিডোনিয়াতে তা আরো এক মাস বেশি।

উত্তর আয়ারল্যান্ডের পর কোচেদের চাকরির স্থায়িত্ব সবচেয়ে বেশি ফিনল্যান্ড (সাড়ে ৪ বছর), নরওয়ে (২ বছর ৭ মাস), আইসল্যান্ড (আড়াই বছর) ও সুইডেনে (২ বছর ৪ মাস)।

দ্বিতীয় আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১০ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ইউরোপের দেশগুলোর শীর্ষ লিগের ৭০০ ক্লাবে ১ হাজার ৭০০ বার কোচ পরিবর্তন হয়েছে।

ফুটবলে এত বেশি কোচ পাল্টানোর কারণটা কী? এ বিষয়ে উয়েফার সাধারণ সম্পাদক জিয়ানি ইনফানতিনোর বক্তব্যের মর্মার্থ দাঁড়ায়—আসলে সবাই চায় জিততে!