বার্সেলোনার সবার সেই যন্ত্রণাটা বোঝা যাচ্ছে কোচ জেরার্দো মার্তিনোর কথায়, “এই হারের পর আমি গভীর যন্ত্রণার মধ্যে আছি। আমাদের যারা সমর্থন করেছে তাদের জন্যও কষ্ট লাগছে।”
আগের বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আতলেতিকোর কাছে ১-০ গোলের হার। শনিবার স্প্যানিশ লিগে গ্রানাদা-বিপর্যয় আর এই বুধবারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলের হার। যন্ত্রণাময় একটা সময়ই যেন কাটল বার্সেলোনার। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বলেই কিনা, রিয়ালের কাছে হারটিই বেশি পোড়াচ্ছে মার্তিনোকে।
“এই হারের চেয়ে বেশি যন্ত্রণার কিছু ভাবতে পারছি না।”
চলতি মৌসুমে কিছুই না পাওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। আতলেতিকোর কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্ন কোয়ার্টার-ফাইনালেই শেষ হয়েছে। গ্রানাদার কাছে ১-০ গোলের হার লিগ শিরোপা থেকেও বেশ অনেকটা দূরে নিয়ে গেছে তাদের। শীর্ষে থাকা আতলেতিকোর সঙ্গে বার্সেলোনার পয়েন্ট ব্যবধান এখন ৪।
সবশেষ রিয়ালের কাছে কোপা দেল রের ফাইনালে হারে সব মিলিয়ে গত ৬ বছরে প্রথমবারের মতো শিরোপা-শূন্য একটা মৌসুম কাটানোর শঙ্কা চোখ রাঙাচ্ছে বার্সেলোনাকে। বার্সেলোনার কোচ, খেলোয়াড় আর সমর্থকদের সব হারানোর এই অনুভূতি গ্রাস না করে পারে না! এটাই হয়ত যন্ত্রনা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের।
কোচ বলেই হয়ত দীর্ঘশ্বাস চেপে সবাইকে সামনে এগিয়ে চলার পথ দেখানোর কথা ভাবতে হচ্ছে মার্তিনোকে।
ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে মার্তিনো যেন সান্ত্বনা দেয়ার সুরে বললেন, “এই দলটিকে আরো অনেক দূর যেতে হবে এবং এখনো ইতিবাচক অনেক কিছুই পাওয়ার আছে।”
খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য করে মার্তিনো বলেন, “সব দিক থেকেই আমাদের খুব কঠিন একটা সপ্তাহ গেছে। কিন্তু আমাদের নিজেদেরকে এর থেকে বের করে আনতে হবে।”
সব হারানোর হাহাকারের সঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বার্সেলোনায় মার্তিনোর ভবিষ্যত নিয়েও। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এর উত্তরও দিতে হয়েছে আর্জেন্টিনার এই কোচকে। মার্তিনো অবশ্য নিজের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত নন।
“এই হার অথবা গত সপ্তাহের ওপর আমার ভবিষ্যত নির্ভর করছে বলে মনে হয় না।”