স্বাধীনতা কাপের শিরোপা মোহামেডানের

প্রথমবারের মতো কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছানো ফেনী সকার ক্লাবের ইতিহাস গড়া হলো না। চমক জাগানো দলটিকে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2014, 02:37 PM
Updated : 13 April 2014, 08:40 AM

শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে জিতে মৌসুমের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলল সাদা-কালো শিবির।

নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে যেখানে হার মানে আলোড়ন তুলে ফাইনালে ওঠা ফেনী সকার।

তবে পুরো ম্যাচে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখিয়েছে ফেনীর দলটি। মোহামেডানের মতো শক্তিশালী দলকে শুধু ১২০ মিনিট আটকেই রাখেনি, বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছে তারা।

অবশ্য রানার্সআপ হওয়াটাও তাদের জন্য কোনো অংশে কম নয়। ২০০৯ সালে ঢাকার ফুটবলে যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে এর আগে শুধু একবারই ফেডারেশন কাপের সেমি-ফাইনালে উঠেছে তারা।

ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন হলেও তুলনামূলক বেশি সুযোগ পেয়েছে মোহামেডানই। নির্ধারিত সময়ে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ঐতিহ্যবাহী দলটি।

বিশেষ করে ২১ মিনিটে স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলির ব্যাকপাসে ফরোয়ার্ড জাহিদ হোসেন বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন।

৩৩ মিনিটে আবারও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন জাহিদ। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ফেনীও দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করে। বক্সের ঠিক বাইরে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ল্যান্ডেং ডার্বোর চমৎকার শট মোহামেডান গোলরক্ষক মামুন খান কোনোমতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে তুলে দেন।

অতিরিক্ত সময়েও ব্যর্থতার গণ্ডি থেকে বেরোতে পারেনি উভয় দলের আক্রমণভাগ। ফলে ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়।

টাইব্রেকারে মোহামেডানের পাঁচ গোলদাতা জাহিদ হাসান এমিলি, ড্যামিয়েন চিগোজি, হাবিবুর রহমান সোহাগ, ওসেসেনি জঙ্গো ও ওবম হেনরি।

আর ফেনীর পাঁচটি শটের চারটিতে গোল করেন ম্যাথু মেন্ডি, আব্দুল্লাহ আল মামুন, চুকা চার্লস ও ল্যান্ডিং ডার্বো। গোল করতে ব্যর্থ হন কাবা জুবে।

ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মোহামেডানের বুরকিনা ফাসোর মিডফিল্ডার ওসেসেনি জঙ্গো। আর টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন ফেনী সকারের গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল।

শিরোপা জিতে মোহামেডানের পর্তুগিজ কোচ লুই জোসে ক্যাপেলা বাতিস্তা আনন্দিত হলেও আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় কিছুটা হতাশও।

“নির্ধারিত সময়েই জয় পাওয়ার মতো সুযোগ পেয়েছিল আমাদের দল। এমন গুরুত্বপূর্ন ম্যাচে খেলোয়াড়রা গোল না পাওয়ায় মূলত টাইব্রেকারে গিয়ে আমাদের জিততে হয়েছে। তারপরও এই শিরোপা জয়, আমাদের জন্য বেশ আনন্দের।”

ফেনী সকারের গাম্বিয়ান কোচ ওমার কে সিসে বলেন, “খেলোয়াড়রা চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমরা সফলতা পাইনি। তবে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত যে তারা লড়ে গেছে এটি কোনো অংশে কম নয়। এটিই আমাদের জন্য বড় পাওয়া।”