শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি ম্যান সিটি-লিভারপুল

দারুণ জমে ওঠা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে মুখোমুখি হচ্ছে দুই বড় দল ম্যানচেস্টোর সিটি ও লিভারপুল। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের ফলের ওপরই নির্ভর করতে পারে কে জিতবে এবারের শিরোপা।

স্পোর্টস ডেস্ক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2014, 11:04 AM
Updated : 12 April 2014, 11:04 AM

বাংলাদেশ সময় রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে শুরু হবে ম্যাচটি।

৩৩ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে লিভারপুল। ৪ পয়েন্টে পিছিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি তৃতীয় স্থানে থাকলেও এক দিক থেকে কিন্তু তারা এগিয়ে। দু'টি ম্যাচ কম খেলেছে ইতিহাদ স্টেডিয়ামের দলটি। অ্যানফিল্ডের ম্যাচটা শিরোপা নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে তা বোঝাই যাচ্ছে।

ইপিএলে গত ডিসেম্বরে সিটির মাঠে ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল ‘অল রেড’ নামে পরিচিত লিভারপুল। রোববারের ম্যাচটি তাই লিভারপুলের জন্য প্রতিশোধ নেয়ারও একটা সুযোগ।

তাছাড়া ঘরের মাঠে সিটিকে হারাতে পারলে প্রথমবারের মতো ইপিএলের শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে অনেকটা এগিয়ে যাবে লিভারপুল। ইংল্যান্ডের প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগে সবচেয়ে সফল দল লিভারপুল ১৮বার শিরোপা জিতেছিল। তবে ১৯৯২ সালে ঐ লিগ নাম পাল্টে ‘ইপিএল’ হওয়ার পর একবারও সাফল্য পায়নি তারা।

লিভারপুল কোচ ব্রেন্ডন রজার্স অবশ্য চ্যাম্পিয়ন হতে কাজ অনেক বাকি বলে মনে করছেন।

“এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ। চলতি মৌসুমে এই দুটি দলই দারুণ খেলেছে কিন্তু এই ম্যাচের পরও অনেক কাজই বাকি থাকবে।”

গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন লিভারপুলের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেস। নিষেধাজ্ঞার কারণে লিগের প্রথম পাঁচ ম্যাচ খেলতে পারনেনি তিনি। ফিরে এসেই হয়ে উঠেছেন দলের ত্রাণকর্তা। একের পর এক গোল করে ২৯ গোল নিয়ে এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। ২০টি গোল করে লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা লিভারপুলেরই ড্যানিয়েল স্টারিজ।

তাই এই ম্যাচে জিততে হলে লিভারপুলের আক্রমণভাগকে রুখতে হবে বলে মনে করছেন সিটির ডিফেন্ডার পাবলো সাবালেতা।

ক্লাবের ওয়েবসাইটে তিনি বলেন, “(এই মৌসুমে) লিভারপুল অনেক গোল করেছে- তাদের আক্রমণভাগে সুয়ারেস, (রাহিম) স্টার্লিং ও স্টারিজের মতো সেরা খেলোয়াড় আছে। দারুণ সময় কাটাচ্ছে তারা।”

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে স্ট্রাইকার স্যার্হিও আগুয়েরোর চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার খবর নিশ্চিতভাবেই বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে সিটিকে।