নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষে খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল।
বাংলাদেশের প্রথম ক্লাব হিসেবে আইএফএ শিল্ডে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল শেখ জামালের সামনে। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলেও স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হলো তাদের।
এর আগে ১৯৯৫ সালে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডও এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে যায় ইস্ট বেঙ্গলের কাছে। ঐ ম্যাচও শেষ হয়েছিল ১-১ অমীমাংসায়।
ফাইনালে ২৭ মিনিটের সময় হাইতির ফরোয়ার্ড সনি নর্দের ফ্রি-কিক এগিয়ে দেয় শেখ জামালকে। অসাধারণ শটটি কলকাতা মোহামেডানের গোলরক্ষক লুই ব্যারেটোকে বোকা বানিয়ে, ক্রস বারে লেগে জালে চলে যায়।
বিরতির ঠিক আগে ডিফেন্ডার মেহরাজউদ্দিনের গোলে সমতা নিয়ে আসে কলকাতা মোহামেডান।
নির্মল ছেত্রীর ক্রস থেকে বল পেয়ে জোরালো শটে গোল করেন ‘অরক্ষিত’ মেহরাজ। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা
ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন তাকে ঠেকানোর কোনো চেষ্টাই করেননি।
৮২ মিনিটে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় লাল কার্ড দেখতে হয় নর্দে ও কলকাতা মোহামেডানের লুসিয়ানোকে।
একটি বলের দখল নিতে গিয়ে লুসিয়ানোর মুখে হাত লেগে যায় নর্দের। ভারতীয় রেফারি সন্তোষ কুমার সরাসরি লাল কার্ড দেখান নর্দেকে।
আর ব্যথা পাওয়ার অভিনয় করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুসিয়ানোকে।