টাইব্রেকারে হেরে শেখ জামালের স্বপ্নভঙ্গ

ভারতের ঐতিহ্যবাহী আইএফএ শিল্ডের শিরোপা জিততে ব্যর্থ শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। শনিবার কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা কলকাতা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হেরে গেছে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2014, 03:45 PM
Updated : 15 Feb 2014, 06:23 PM

নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষে খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল।

বাংলাদেশের প্রথম ক্লাব হিসেবে আইএফএ শিল্ডে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল শেখ জামালের সামনে। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলেও স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হলো তাদের।

এর আগে ১৯৯৫ সালে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডও এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে যায় ইস্ট বেঙ্গলের কাছে। ঐ ম্যাচও শেষ হয়েছিল ১-১ অমীমাংসায়।

ফাইনালে ২৭ মিনিটের সময় হাইতির ফরোয়ার্ড সনি নর্দের ফ্রি-কিক এগিয়ে দেয় শেখ জামালকে। অসাধারণ শটটি কলকাতা মোহামেডানের গোলরক্ষক লুই ব্যারেটোকে বোকা বানিয়ে, ক্রস বারে লেগে জালে চলে যায়।

বিরতির ঠিক আগে ডিফেন্ডার মেহরাজউদ্দিনের গোলে সমতা নিয়ে আসে কলকাতা মোহামেডান।

নির্মল ছেত্রীর ক্রস থেকে বল পেয়ে জোরালো শটে গোল করেন ‘অরক্ষিত’ মেহরাজ। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা
ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন তাকে ঠেকানোর কোনো চেষ্টাই করেননি।

৮২ মিনিটে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় লাল কার্ড দেখতে হয় নর্দে ও কলকাতা মোহামেডানের লুসিয়ানোকে।

একটি বলের দখল নিতে গিয়ে লুসিয়ানোর মুখে হাত লেগে যায় নর্দের। ভারতীয় রেফারি সন্তোষ কুমার সরাসরি লাল কার্ড দেখান নর্দেকে।

আর ব্যথা পাওয়ার অভিনয় করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুসিয়ানোকে।

তবে নর্দেকে লাল কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল তা সমস্বরে জানিয়ে রেফারির তীব্র সমালোচনা করেছেন টিভি ধারাভাষ্যকাররা।
নর্দে বেরিয়ে যাওয়ার পর শেখ জামালের খেলায় কিছুটা ছন্দপতন হলেও হাইতির আরেক ফরোয়ার্ড ওয়েডসন অ্যানসেলমে ও নাইজেরীয় স্ট্রাইকার এমেকা ডার্লিংটন দলকে জয়সূচক গোল এনে দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিশেষ করে ওয়েডসন একাধিক সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন। অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলামের মাইনাস ওয়েডসনের সামনে এনে দিয়েছিল দারুণ সুযোগ। কিন্তু সামনে শুধু গোলরক্ষককে পেয়েও শট না নিয়ে তাড়াহুড়া করে হেড করতে গিয়ে ব্যর্থ হন তিনি।
১১৫ মিনিটে আবার ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়নদের হতাশ করেন ওয়েডসন। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নেয়া তার শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
তাই টাইব্রেকারের ‘লটারি’র সামনে দাঁড়াতে হয় দুদলকে। পাঁচটি করে শট শেষে ৩-৩ সমতা থাকায় ‘সাডেন ডেথ’-এ শিরোপা নির্ধারণ হয়।
টাইব্রেকারে শেখ জামালের পক্ষে ওয়েডসন, নাসির উদ্দিন ও ইয়াসিন খান গোল করলেও ব্যর্থ হন আলী আমিসু, মোহাম্মদ লিঙ্কন ও দিদারুল আলম।
কলকাতা মোহামেডানের পক্ষে গোল করেন খেন তাং পাই, মনীশ মাইথনি, নির্মল ছেত্রী ও মেহরাজউদ্দিন। গোল করতে ব্যর্থ হন জসিমার ও রহিম নবী।