আনসারের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ফোরকানউদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আনসার মহিলা কাবাডিতে আর খেলবে না।
গত ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ গেমসে আনসার-বিজেএমসি মহিলা কাবাডির ফাইনাল শেষে আনসারের সমর্থক ও ম্যাচের রেফারিরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গত শনিবার কাবাডি ফেডারেশন এক জরুরি সভায় বসে আনসারের চার কর্মকর্তাকে কাবাডিতে নিষিদ্ধ এবং সংস্থাটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে। তার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আনসার।
জাতীয় দলের অধিনায়ক আনসারের শাহনাজ পারভীন মালেকা বলেন, “কাবাডি খেলে আনসারের জন্য আমরা অনেক কিছু করেছি। ২০০৫ সাল থেকে এই দলে খেলছি। অথচ তারা আমাদের কথা একবারো ভেবে দেখেননি।”
“আশা করি আনসার মেয়েদের কাবাডি দলটি ধরে রাখবে। আনসার ও ফেডারেশন আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসতে পারে। তাহলে আমরা বেঁচে যাব।”
আনসারের আরেক খেলোয়াড় মালেকা পারভীন বলেন, “আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না। আমরা খেলতে চাই। আমাদের কী অপরাধ? রেফারি আর সমর্থকরা মারামারি করেছে, আমরা তো মারামারি করিনি।”
“অন্যদের অপরাধে আমরা কেন দোষী হব? রেফারি আমাদের সাড়ে চার মিনিট আগে হারিয়ে দিয়েছে। তারপরও সব দায় আমাদের বহন করতে হবে? এটা অন্যায়।”
আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নাজিমউদ্দিন বলেন, “মহিলা কাবাডি দল বিলুপ্ত করা আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। কারণ এই দুর্নামের দায় আনসার বাহিনী নিতে পারে না।
“সরকার শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই বাহিনী তৈরী করে। এ সব বাহিনীর কাজ শৃঙ্খলা বজায় রাখা, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা নয়। আমাদের কাছে শৃঙ্খলাই সবচেয়ে বড় কথা।”