আবাহনী কোচের চোখে অবিশ্বাস্য খেলেছে দল

হজম করা দুই গোল বাদ দিলে ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলেছে আবাহনী লিমিটেড। ভারতের দল চেন্নাইন এফসিকে হারিয়ে প্রথম লেগের হারের মধুর প্রতিশোধও নিয়েছে। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় কোচ মারিও লেমোস তাই দাবি করলেন, অবিশ্বাস্য খেলেছে তার শিষ্যরা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2019, 04:35 PM
Updated : 15 May 2019, 04:50 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার এএফসি কাপের ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে চেন্নাইনকে ৩-২ গোলে হারায় আবাহনী। প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা।

ষষ্ঠ মিনিটেই ডিফেন্ডারদের ভুলে গোল হজম করা আবাহনী প্রথমার্ধে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় সমতায় ফিরতে পারেনি। তবে লেমোস জানালেন শিষ্যদের ওপর বিশ্বাস ছিল তার।

“এটা আবাহনীর জন্য, বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ম্যাচ। শুরুতে আমরা সেট পিস থেকে ভুলে গোল খেয়েছিলাম। এরপর ছেলেরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সবাই জয়ের জন্য লড়াই করেছে। অবিশ্বাস্য খেলেছে দল।”

“চেন্নাইনের মাঠে গিয়েও আমরা ভালো খেলেছিলাম কিন্তু হেরেছিলাম। প্রথম গোল খাওয়ার পরও বিশ্বাস ছিল ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াবে।”

৬৪তম মিনিটে আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানির লম্বা করে বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে ডান পায়ের শটে আবাহনীকে সমতায় ফেরান কেরফেন্স ফিলস বেলফোর্ট। পাঁচ মিনিট পর দুর্দান্ত ফ্রি কিকে দলকে এগিয়ে নেন সাইঘানি। শেষ দিকে মামুনুল ইসলাম জোরালো শটে করেন জয়সূচক গোলটি।

ম্যাচের ফল নিয়ে হতাশ চেন্নাইন এফসির কোচ জন গ্রেগরি আলাদাভাবে প্রশংসা করলেন সাইঘানি আর মামুনুলের গোলের।

“ম্যাচের ফলে আমি ভীষণ হতাশ। প্রথমার্ধ আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি। এরপর পিছিয়ে পড়লাম। ঘুরে দাঁড়ালাম কিন্তু ওই গোলটি হলো। দুটো দুর্দান্ত গোলে আমরা হেরে গেলাম। প্রথমটা ফ্রি কিকে এবং শেষ যে গোলটা হলো, সেটা ছিল দুর্দান্ত।”

“আগেই বলেছিলাম ম্যাচটা আমাদের জন্য কঠিনতম ম্যাচ হবে। দ্বিতীয়ার্ধে আমার দলের খেলা ছিল নিম্নমানের।”

চোটের কারণে তপু বর্মন, আতিকুর রহমান ফাহাদ খেলতে পারেননি। দুজনের জায়গায় নামা জুয়েল রানা ও মামুনুল দারুণ আলো ছড়িয়েছেন। লেমোসের বাড়তি প্রশংসাও পেয়েছেন দুজনে। প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে পারা মামুনুল গোলটি উৎসর্গ করেছেন চার মাস আগে কোলজুড়ে আসা ছেলেকে।

“ধন্যবাদ সবাইকে। ছেলে হয়েছে চার মাস আগে কিন্তু আমি খেলতে পারছিলাম না। কিছুটা ক্ষোভ জমে ছিল। এই গোল ছেলেকে উপহার দিলাম।”

আগামী ১৯ জুন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভারতের আরেক দল মিনেরভা পাঞ্জাবের সঙ্গে ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে আবাহনী।