মঙ্গলবার রাতে কাম্প নউয়ে ৬-১ গোলে এইবারকে হারিয়ে লিগে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রেখেছে এরনেস্তো ভালভেরদের দল।
গত শনিবার গেতাফের বিপক্ষে বদলি নেমে গোল করা পাওলিনিয়ো ও দেনিস সুয়ারেস এইবারের জালে বল পাঠানোর পাশাপাশি সতীর্থের গোলেও অবদান রাখেন।
ঘরের মাঠে তৃতীয় মিনিটেই পিছিয়ে পড়তে বসেছিল বার্সেলোনা। পাল্টা আক্রমণে বল পায়ে একা ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ে কোনাকুনি শট নেন ফরোয়ার্ড সের্হি এনরিচ। বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে দলকে বাঁচান মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
৩৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো; কিন্তু মেসির ট্রেডমার্ক শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
গেতাফের বিপক্ষে হোঁচট খেতে বসা ম্যাচের শেষদিকে জয়সূচক গোল করা পাওলিনিয়ো ৩৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। দেনিস সুয়ারেসের কর্নারে হেড করে গোলটি করেন ব্রাজিলের এই মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে ডান পায়ের শটে গোল করেন দেনিস সুয়ারেস। গোলটিতে বড় অবদান মেসির। মাঝমাঠের কাছ থেকে ছুটে একজনকে কাটিয়ে তার নেওয়া শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সী স্পেনের মিডফিল্ডার দেনিস।
চার মিনিট পর স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড এনরিচ ব্যবধান কমিয়ে লড়াইয়ে ফেরার আশা জাগান। তবে খানিক বাদেই তিন মিনিটের ব্যবধানে আরও দুবার বল জালে পাঠিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন মেসি।
আর চমৎকার এক গোলে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। পাওলিনিয়োর সোজাসুজি পাস ধরে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ডি-বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডারদের কোনোরকম সুযোগ না দিয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
এ নিয়ে স্পেনের শীর্ষ লিগে ২৮টি হ্যাটট্রিক করলেন মেসি। কাতালান ক্লাবটির হয়ে সব মিলিয়ে এটি ৩৯তম আর জাতীয় দল মিলিয়ে ক্যারিয়ারে ৪৩তম হ্যাটট্রিক।
তৃতীয় রাউন্ডে কাম্প নউয়েই এসপানিওলকে ৫-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে তিন গোল করেছিলেন তিনি।
বদলি নামা আলেইশ ভিদালের কাটব্যাক থেকে ৮৭তম মিনিটে নিজের চতুর্থ ও দলের শেষ গোলটি করেন মেসি।
এবারের লিগে ৯ গোল করে গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে আছেন মেসি।
চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সেভিয়া।
দিনের প্রথম ম্যাচে মালাগাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া ভালেন্সিয়া পাঁচ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল সোসিয়েদাদের পয়েন্টও সমান ৯। চার ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।