রোববার রাতে পিএসজির মাঠে প্রথমার্ধের খেলা কোনো উত্তেজনা ছড়ায়নি। ডান দিক থেকে এমবাপে ও বাঁ দিক থেকে নেইমার আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে ততটা সফল হননি। পায়ের কারিকুরি দেখাতে গিয়ে বারবার বলের দখল হারিয়েছেন ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড নেইমার।
প্রথমার্ধের একমাত্র ভালো সুযোগটা পিএসজি পেয়েছিল শেষ দিকে। এমবাপের কাছ থেকে বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে নেইমারের নেওয়া শট যায় গোলরক্ষক আন্তনি লোপেসের কাছে।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলার গতি বাড়ে। ৫৭তম মিনিটে ২১ মিটার দূর থেকে নেওয়া নেইমারের ফ্রি-কিক ডানে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন লোপেস।
৬৭তম মিনিটে ভাগ্য সহায় না থাকায় এগিয়ে যেতে পারেনি অতিথিরা। নদমবেলের দূরপাল্লার জোরালো শটে বল ক্রসবার কাঁপিয়ে ফিরে। দুই মিনিট পর কাছ থেকে মার্সেলোর হেড ঠেকিয়ে পিএসজির ত্রাণকর্তা গোলরক্ষক আলফুঁস আরিওলা।
একটু পর ডি-বক্সে এমবাপেকে ফেলে দেওয়া হলে পেনাল্টি পায় পিএসজি। তবে কাভানির স্পটকিক ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়াতে দেননি লোপেস। কিন্তু ৮৫তম মিনিটে আরেকটি আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে ফেরার আশা শেষ হয়ে যায় লিওঁর।
নেইমারের বাড়ানো বল ধরা এমবাপের সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক। বল ফিরিয়েও দিয়েছিলেন; কিন্তু তা ডিফেন্ডার জেরেমি মোরেলের গায়ে লেগে জালে ঢুকে যায়।
টানা ছয় জয়ে শীর্ষে থাকা পিএসজির পয়েন্ট ১৮।
আগের ম্যাচে রাদামেল ফালকাওয়ের জোড়া গোলে স্ত্রাসবুরকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে মোনাকো। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।