আগুয়েরো-জেসুসের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়ায় খুশি গুয়ার্দিওলা

লিভারপুলকে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে সের্হিও আগুয়েরো-গাব্রিয়েল জেসুসের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ও তাদের পারফরম্যান্সে ভীষণ খুশি পেপ গুয়ার্দিওলা। দুজন একসঙ্গে বিধ্বংসী জুটি হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2017, 09:54 AM
Updated : 11 Sept 2017, 09:54 AM

শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের মাঠে লিভারপুলকে ৫-০ গোলে হারায় সিটি। ২৪তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দিয়ে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে ইউরোপের বাইরের দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোল (১২৪) করেন আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার আগুয়েরো।

বিরতির আগে হেডে ব্যবধান বাড়ান জেসুস। আর দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিট আগুয়েরোর পাসে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড। গোলরক্ষককে একা পেয়েও নিজে শট না নিয়ে বাঁয়ে থাকা আক্রমণভাগের সতীর্থকে বল বাড়িয়েছিলেন আগুয়েরো।

সাধারণত একজন মূল স্ট্রাইকার খেলাতেই পছন্দ করেন গুয়ার্দিওলা। ফলে জানুয়ারিতে পালমেইরাস থেকে জেসুস আসার পর একটা প্রশ্ন বড় হয়ে ওঠে; আক্রমণভাগের সামনে থাকবেন কে, জেসুস না আগুয়েরো।

জেসুস আসার পর শুরুতে কয়েক ম্যাচে প্রথম একাদশে তাকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে বেঞ্চে থাকতে হয়েছিল আগুয়েরোকে। অবশ্য মাঝে গুয়ার্দিওলা দুজনকে পাশাপাশি খেলানোর কথাও বলেছিলেন। লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচের পর দুইজনকে পাশাপাশি আরও বেশি দেখার সম্ভাবনা জাগলো।

“আমি স্ট্রাইকারকে পাস দিতে বলি না। বলি, দয়া করে একটা গোল করতে। কিন্তু সের্হিও যা করেছে, আমার কাছে তার মূল্য অনেক, অনেক বেশি।”

“তারা দুজনেই ভালো মানুষ। দুজনেই অসাধারণ খেলোয়াড়, তাদের মধ্যে সম্পর্কটা খুব ভালো।”

“অবশ্যই তারা দুজনেই গোল করতে চায় এবং আমাদের তা দরকার, সেই স্বার্থপরতাটা, সতীর্থের চেয়ে বেশি গোল করতে চাওয়াটা। কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সামর্থ্য তাদের আছে যেমনটা সের্হিও করেছে।”

“সে গোলরক্ষকের সামনে একা ছিল, তবে বল পাস দেওয়ার উপায়ও ছিল। পরবর্তীতে এ রকম সময় আসলে সের্হিওর জন্য গাব্রিয়েল এমন করবে; আর সেটা দারুণ।”

বিশাল ওই জয়ের ম্যাচে শেষ দুটি গোল করেন জার্মান উইঙ্গার সাদিও মানে।

চার ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় আছে ম্যানচেস্টার সিটি। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।