বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার শেখ জামালের জয়টি ৩-১ গোলের।
শেখ জামালকে চাপে রেখে চতুর্দশ মিনিটেই এগিয়ে যায় আরামবাগ। ডান দিক থেকে মোহাম্মদ জুয়েলের ক্রসে এলামলি বুকোলার প্লেসিং শট ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষক মিতুল হোসেনের হাত ছুঁয়ে জালে জড়ায়।
এরপরই উল্টোরথে ছুটল আরামবাগ। ৩৬তম মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে এনামুল হকের লম্বা করে বাড়ানো বল বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন আরামবাগের ডিফেন্ডার জালাল মিয়া। কিন্তু তার বল গোলরক্ষকের গ্লাভস গলে জালে জড়ায়। ব্যাক পাস ভেবে আক্কাস শেখও বলটা গ্রিপে নিতে দোটানায় ছিলেন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আরেকটি আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে আরামবাগ। বাঁ দিক থেকে এনামুলের কর্নারে শাহরিয়ার বাপ্পী হেডে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজের জালে ঢোকান।
৫৮তম মিনিটে বাপ্পীর শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে সমতায় ফেরা হয়নি আরামবাগের। একটু পর শেখ জামালের মোমোদু বাহর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
শেখ জামাল ৬৩তম মিনিটে জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে নেয়। শ্যামল মিয়ার কাট ব্যাকে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিংয়ের মাপা শট দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে সলোমনের ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফিরলে ব্যবধান বাড়েনি।
পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেখ জামাল। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চট্টগ্রাম আবাহনী।
অন্যদিকে টানা তিন হারের পর ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে জেতা আরামবাগ চতুর্থ হারের স্বাদ পেল।