কান্না চেপে বিদায় জানালেন বোল্ট

লন্ডনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পর অবসর নেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন উসাইন বোল্ট। প্রতিযোগিতার শেষ দিন কান্না চেপে সবাইকে বিদায় জানালেন গত এক দশক ট্র্যাকে রাজত্ব করা জ্যামাইকার এই অ্যাথলেট।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2017, 11:30 AM
Updated : 14 August 2017, 11:30 AM

রোববার বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৭ এর পর্দা নামার দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দেন অলিম্পিকে আটটি সোনা জয়ী।

পরে সংবাদ সম্মেলনে বোল্ট বলেন, “আমি দর্শকদের বিদায় জানাচ্ছিলাম এবং আমার ইভেন্টগুলোকেও বিদায় বলছিলাম।”

অবসর ভেঙে ভবিষ্যতে ফিরতে পারেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমি এমন অনেক মানুষ দেখেছি যারা অবসর নেওয়ার পর ব্যাপারটা আরও খারাপ করতে ও নিজেদের লজ্জা দিতে ফিরে আসে। আমি তাদের মতো একজন হবো না।”

বিদায়ী আসরে ২০০ মিটারে দৌড়াবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। লক্ষ্য ছিল ১০০ ও ৪*১০০ মিটার রিলেতে সোনা জিতে সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারের ইতি টানার। কিন্তু তা পূরণ হয়নি; ১০০ মিটারে তৃতীয় হওয়ার পর চোটের কারণে রিলে শেষই করতে পারেননি।

শনিবার রাতে রিলেতে সবার শেষে ব্যাটন হাতে কিছুদূর যাওয়ার পরই পায়ে টান খেয়ে খোড়াতে শুরু করেন এবং পড়ে যান বোল্ট। তবে শেষের ব্যর্থতায় চরম হতাশার কিছু দেখছেন না বোল্ট।

“আমার মনে হয় না, একটা চ্যাম্পিয়নশিপ আমি যা করেছি তা বদলে দিবে।”

“আমার মনে আছে, ১০০ মিটারে হারার পর একজন আমাকে বলেছিল, ‘উসাইন, চিন্তা করো না। মুহাম্মাদ আলিও শেষ ম্যাচে হেরেছিলেন। তাই ওটা নিয়ে চাপ নিও না’।”

“আমি বছরের পর বছর, পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে নিজেকে প্রমাণ করেছি। আমি সবকিছুকে বিদায় বলছিলাম। আমি প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলাম।”

দুই বছর পর পর হওয়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ২০১১ সালের আসরে ১০০ মিটারে ডিসকোয়ালিফাইড হয়েছিলেন বোল্ট। ওই একটি হতাশার অধ্যায় ছাড়া ২০০৯ থেকে এই আসরের আসার আগ পর্যন্ত প্রতিবার ১০০ মিটার, ২০০ মিটার ও ৪*১০০ মিটার রিলেতে সোনা জিতেছিলেন তিনি।

অলিম্পিকের গত তিন আসরে ১০০ মিটার, ২০০ মিটার ও ৪*১০০ মিটার রিলেতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন বোল্ট। অবশ্য তার সে অনন্য ‘ট্রিপল ট্রিপল’ রেকর্ডটি আর নেই।

২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে জ্যামাইকার ৪*১০০ মিটার রিলেতে সোনা জয়ী দলের সদস্য নেস্টা কার্টারের নিষিদ্ধ উপাদান নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ১০০ ও ২০০ মিটারে বিশ্বরেকর্ডের মালিকের একটি অলিম্পিক সোনার পদক ফিরিয়ে দিতে হয়েছে।