প্রথম জয় মুক্তিযোদ্ধার

এক গোল হজমের পর দারুণভাবে জেগে উঠল আজমাদ-সারহানরা। গোছালো ফুটবল খেলে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটিকে কোণঠাসা করে দ্রুতই তুলে নিল তিন গোল। শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2017, 01:11 PM
Updated : 4 August 2017, 01:57 PM

চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো মুক্তিযোদ্ধা। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কাছে ৩-০ গোলে হেরে লিগ শুরু করে মাসুদ পারভেজের দল। অন্যদিকে ৪-২ ব্যবধানে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে হারিয়ে লিগ শুরু করা রহমতগঞ্জ প্রথম হারের স্বাদ পেল।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে একাদশ মিনিটে ফয়সালের ক্রসে ইসমাইল বাঙ্গুরার ফ্লিক সোজা গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি রহমতগঞ্জের। তবে পঞ্চদশ মিনিটে সাদ্দাম হোসেনের ক্রসে বাঙ্গুরার হেড গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে ঠিকানা খুঁজে পায়।

পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়ায় মুক্তিযোদ্ধা। ২২তম মিনিটে ডান দিক থেকে তানভির রানার ক্রস গোলরক্ষক মোহাম্মদ রাজীব লাফিয়ে উঠলেও বল গ্লাভসে নিতে পারেননি। ফাঁকায় থাকা আমজাদ আলির নিখুঁত শটে ম্যাচে সমতা ফেরান।

চার মিনিট পর গোছালো আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে মোহাম্মদ জাকি সারহান হেডে লক্ষ্যভেদ করেন।

৩৫তম মিনিটে মানডে ওসাগির ফ্রি কিক গোলরক্ষক ফিস্ট করে ফেরালে সমতায় ফেরা হয়নি রহমতগঞ্জের। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডান দিক দিয়ে ঢুকে একক প্রচেষ্টায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মিশরের ফরোয়ার্ড সারহান; ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচের লাগাম মুঠোয় নেয় মুক্তিযোদ্ধাও।

দ্বিতীয়ার্ধেও রহমতগঞ্জের রক্ষণে চাপ ধরে রাখে মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু পরপর দুটো সুযোগ নষ্ট করেন আমজাদ। ৫৭তম মিনিটে ছোট ডি-বক্সের একটু ওপর থেকে পোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। পরের প্রচেষ্টা গোলরক্ষকের গায়ে মেরে নষ্ট করেন এই ফরোয়ার্ড।

৬৩তম মিনিটে ম্যাচে ফেরে রহমতগঞ্জ। ডি বক্সের একটু ওপর থেকে নাইমুর রহমান শাহেদের লবে বাঙ্গুরার হেড জালে জড়ায়। গোলরক্ষক উত্তম বড়ুয়া লাফিয়ে উঠলেও বলের নাগাল পাননি।

৭৬তম মিনিটে ডি-বক্সের একটু ওপরে মোহাম্মদ শিহাবের হাতে লাগলে ফ্রি কিক পায় রহমতগঞ্জ। জাত্তা মুস্তাফার শট ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে হতাশ হতে হয় তাদের।