স্পেনের সরকারি কৌসুলিদের অভিযোগ, ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এক কোটি ৪৭ লাখ ইউরো কর ফাঁকি দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড।
ধারণা করা হচ্ছিল, শুনানি শেষে বিবৃতি দিবেন রোনালদো। অপেক্ষাও করছিলেন সাংবাদিকরা। কিন্তু সাংবাদিকদের এড়িয়ে যেতে আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যারেজ দিয়ে আদালতে ঢুকেন ও বেরিয়ে যান ৩২ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
পরে এক বিবৃতিতে, স্প্যানিশ ট্রেজারিকে নিজের আয়ের সব তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রোনালদো।
"আমি কখনও কিছু গোপন করিনি। কর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টাও করিনি কখনও। আমি সবসময় স্বেচ্ছায় কর দিয়েছি। কারণ আমি মনে করি, আয় অনুযায়ী আমাদের সবাইকে তার বিস্তারিত জানাতে হবে এবং কর দিতে হবে। যারা আমাকে চিনে, তারা জানে আমি আমার উপদেষ্টাদের কি বলি: সবকিছু হালনাগাদ রাখা আর ঠিকমতো পরিশোধ করা। কারণ আমি সমস্যা চাই না।"
এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো মন্তব্য করবেন না বলেও জানিয়েছেন রোনালদো।
অনেক দিন ধরে রোনালদোর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির তদন্ত চলছিল। তবে শুরু থেকেই তিনি বলে আসছেন, কোনো রকম অপরাধ করেননি তিনি, তার লুকানোরও কিছু নেই।
গত বছর একই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বার্সেলোনার তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসিকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। তবে এ মাসের শুরুতে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের কারাদণ্ডের শাস্তি দুই লাখ ৫২ হাজার ইউরো জরিমানার বদলে তুলে নিতে রায় দেয় আদালত।
মেসির বিরুদ্ধে ৪১ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগ ছিল। রোনালদোর বিরুদ্ধে অভিযোগের মোট অঙ্ক থেকে যা এক কোটি ছয় লাখ ইউরো কম।
সোমবার আদালতে দেড় ঘণ্টা বিচারকের সামনে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা এই ক্রীড়াবিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জেনে-বুঝে তার ইমেজ স্বত্ব থেকে আয় করা অর্থ লুকাতে অন্য ব্যবসার আশ্রয় নিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়টি যদি মামলায় গড়ায় এবং অভিযোগ প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত। একই সঙ্গে ‘কমপক্ষে দুই কোটি ৮০ লাখ ইউরো’ জরিমানাও দিতে হতে পারে।
স্পেনের আইন অনুযায়ী, সহিংস অপরাধ না করলে সাধারণত দুই বছরের নিচে সাজার ক্ষেত্রে কারাবাস হয় না।