বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রোববারের প্রথম ম্যাচে ৩-০ ব্যবধানে এই জয়ে খালেকুরজ্জামান সবুজের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল শফিকুল ইসলাম মানিকের দল।
শুরুতে দুই দলের খেলায় ছিল না প্রত্যাশিত গতি। ২৩তম মিনিটে বলার মতো প্রথম আক্রমণে যায় মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু মনির আলমের জোরালো শট পোস্টের বাইরে যায়।
এরপর একটু একটু করে শেখ রাসেলের খেলায় গতি ফেরে। তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ম্যাচের লাগাম মুঠোয় নেয় গতবার অষ্টম হওয়া দলটি।
৩৩তম মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বলে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে নিখুঁত হেড করেন খালেকুরজ্জামান। এগিয়ে আসা গোলরক্ষক উত্তম বড়ুয়ার মাথার ওপর দিয়ে বল ঠিকানা খুঁজে পায়।
৩৬তম মিনিটে তিন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন গাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড সিসে।
দুই গোল হজমের পর কিছুটা জেগে ওঠে গত লিগে পঞ্চম হওয়া মুক্তিযোদ্ধা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দুর্ভাগ্যের কারণে ম্যাচে ফেরা হয়নি তাদের। ডান দিকে থেকে সৈকত মাহমুদ মুন্নার শট দূরের পোস্টে লাগে।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে ৪৯তম মিনিটে তানভির রানার হেড গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান ফেরালে মুক্তিযোদ্ধার হতাশা আরও বাড়ে।
৭৮তম মিনিটে ফাঁকা পোস্টে বল পেয়েও নিজে শট না নিয়ে আলমগীর কবির রানা কাট ব্যাক করেন। লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি গাম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ডের। মুক্তিযোদ্ধার ম্যাচে ফেরার আশা তাতে শেষ হয়ে যায়।
দেখার বাকি ছিল হ্যাটট্রিক করতে পারেন কিনা দাউদা। শেষ দিকে সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় তা আর হয়নি।