বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচের শুরুতে আবাহনীকে চাপে রাখে নবাগত সাইফ স্পোর্টিং। অষ্টাদশ মিনিটে এম্বের আর্লে ভালেন্সিয়ার আচমকা নেওয়া শট শেষ মুহূর্তের প্রচেষ্টায় ফেরান গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল।
ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠা আবাহনী ২১তম মিনিটে প্রথম সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায়। ইমন বাবুর ছোট কর্নারের পর ওয়ালী ফয়সালের ক্রসে নিখুঁত হেডে লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড এমেকা ডারলিংটন।
২৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। এমেকার পাস ধরা সাদ উদ্দিনকে ডি-বক্সের মধ্যে রহমত মিয়া ফেলে দিলে স্পটকিকের বাঁশি বাজান রেফারি। আনিসুর রহমান জিকোকে অনায়াসে পরাস্ত করেন এমেকা।
৪২তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ হেলায় নষ্ট করেন এমেকা। ডি-বক্সের একটু ওপর থেকে ওয়ালীর ছোট ফ্রি কিক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সোহেল রানা ডান দিক দিয়ে ঢুকে শট নেন। দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেওয়ার আগ মুহূর্তে জিকোর হাত ছুঁয়ে বল বেরিয়ে যাওয়ার আগে পা ছোঁয়ানোর কাজটুকু করতে পারেননি গোলমুখে থাকা এমেকা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তৈরি করা সুযোগটি কাজে লাগায় সাইফ স্পোর্টিং। ৪৮তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে রহিম উদ্দিনের ক্রসে বদলি নামা জুয়েল রানার জোরালো হেড ঠিকানা খুঁজে পেলে সমতা ফেরে।
৫৫তম মিনিটে সাদের ব্যর্থতায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি আবাহনীর। বাঁ-দিক দিয়ে আক্রমণে যাওয়া এই ফরোয়ার্ড গোলরক্ষককে একা পেয়েও তালগোল পাকিয়ে শট নিতে পারেননি।
৮৪তম মিনিটে নাসিরউদ্দিন চৌধূরীর গোলে পুরো তিন পয়েন্ট পায় আবাহনী। রায়হান হাসানের থ্রোয়ে সাইফ স্পোর্টিংয়ের রহমতের ব্যাক হেড থেকে বল পেয়ে যান দূরের পোস্টে থাকার নাসির। নিখুঁত হেডে জয় এনে দেন এই ডিফেন্ডার।