২০১২ উইম্বলডনে সপ্তমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে উইলিয়াম রেনশ ও পিট স্যাম্প্রাসের সঙ্গে যৌথভাবে বসেছিলেন সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ীর তালিকায়। রেকর্ড গড়তে তারপর শুধুই অপেক্ষা। ২০১৪, ২০১৫ সালের ফাইনালে উঠলেও জিততে পারেননি।
পাঁচ বছরের অপেক্ষার শেষ হয় রোববার। ক্রোয়েশিয়ার মারিন সিলিচকে ৬-৩, ৬-১, ৬-৪ গেমে হারিয়ে পুরুষ খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রতিযোগিতার রেকর্ড অষ্টম শিরোপা জিতেন ফেদেরার। গ্র্যান্ড স্ল্যামে এটা তার রেকর্ড ১৯তম শিরোপা।
“আমার নায়করা এই মাঠে হেঁটেছে এবং এই কোর্টে হেঁটেছে। তাদের কারণে আমি মনে করি, আমিও একজন ভালো খেলোয়াড় হয়েছি। এই কারণে এখানে উইম্বলডনে ইতিহাস গড়াটা সত্যিই আমার কাছে অনেক বড় কিছু।”
২০১২ সালে অ্যান্ডি মারেকে হারিয়ে উইম্বলডনে সপ্তম শিরোপাটি জিতেছিলেন ফেদেরার। এরপর গত পাঁচ বছরে কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামই জিততে পারেননি। দীর্ঘ খরা শেষে এ বছর নতুন রূপে ফিরেন। ছয় মাসের চোট কাটিয়ে কোর্টে ফিরেই জিতে নেন বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। জিতেন দুটি মাস্টার্স শিরোপাও।
আর এবার পুরো টুর্নামেন্টে কোনো সেট না হেরে জিতে নিলেন উইম্বলডন! অবিশ্বাস্য! এতটা স্বপ্নেও ভাবেননি ফেদেরার।
“আমার মনে হয়, যদি বলতাম এ বছর আমি দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতব তাহলে আপনারা হাসতেন। আমিও বিশ্বাস করিনি, আমি দুটি জিততে যাচ্ছি।”
গত বছর উইম্বলডনে সেমি-ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়েছিলেন ফেদেরার। তারপর হাঁটুর চোটের কারণে বছরের বাকি সময়ে আর কোনো প্রতিযোগিতা অংশ নেননি তিনি। র্যাঙ্কিংয়েও তার প্রভাব পড়ে; নেমে যান ১৭ নম্বরে।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে আবারও উপরের দিকে ওঠা শুরু ফেদেরারের। আর এবার ১৯তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে র্যাঙ্কিংয়ের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন ফেদেরার। লক্ষ্য আরও উঁচুতে ওঠার। সর্বোচ্চ ৩০২ সপ্তাহ র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকার রেকর্ডটিও তার দখলে।
আগামী মাসে ৩৬ বছর পূর্ণ করতে যাওয়া তারকার সামনে চূড়ায় ফেরার হাতছানি থাকছে ভালোভাবেই।