আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরুটা রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের আভাস দিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ঝিমিয়ে পড়ে। ফলাফল-নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ও দুদলের জাল থাকে অক্ষত। অবশেষে টাইব্রেকারে ব্রাভোর অসাধারণ নৈপুণ্যে পর্তুগালকে ৩-০ এ হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায় চিলি।
রিকার্দো কারেসমা, জোয়াও মৌতিনিয়ো ও নানির শট ঠেকিয়ে ব্রাভো যদি হন মহানায়ক, তাহলে আর্তুরো ভিদাল, মারিয়ানো ও আলেক্সি সানচেসও নায়ক। নির্ধারিত নব্বই মিনিট ও অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়তে না পারলেও এই তিন জন টাইব্রেকারে ঠিকই লক্ষ্যভেদ করেছেন।
কাজানে ম্যাচের শুরুতে গোল পেতে পারতো দুদলই। কিন্তু গোলশূন্য স্কোরলাইনে পরিবর্তন আনতে পারেনি কেউই।
ষষ্ঠ মিনিটে গোল করার মতো জায়গায় থেকে গোলরক্ষকের গায়ে বল মেরে বসেন এদুয়ার্দো ভার্গাস। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে সহজ সুযোগ পান আন্দ্রে সিলভা। কিন্তু রোনালদোর কোনাকুনি পাস ছয় গজ বক্সের ঠিক বাইরে পেয়েও গোলরক্ষক বরাবর মেরে বসেন সম্প্রতি এসি মিলানে যোগ দেওয়া ফরোয়ার্ড।
৫৮তম মিনিটে আবারও ক্ষণিকের ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় উভয় দল। কিন্তু ভার্গাসের দুর্দান্ত ভলি পাত্রিসিও ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেওয়ার পর পাল্টা আক্রমণে রোনালদোর জোরালো শট ঠেকান ব্রাভো।
১১৯তম মিনিটেই সব হিসেব শেষ করে দিত পারতো চিলি; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি। ভিদালের জোরালো শট পোস্টে লাগার পর ফিরতি বলে মার্তিন রদ্রিগেসের প্রচেষ্টা বাধা পায় ক্রসবারে।
তবে শেষ পর্যন্ত দুর্ভাগ্য তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির তারকা গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভো।