ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফরাসিদের মধুর প্রতিশোধ

ম্যাচের প্রায় অর্ধেকটা সময় এক জন বেশি নিয়েও পারলো না ইংল্যান্ড। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানো ফ্রান্স শেষ দিকে প্রতিপক্ষের উপর একচেটিয়া চাপ ধরে রেখে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2017, 09:26 PM
Updated : 13 June 2017, 09:30 PM

মঙ্গলবার রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে হ্যারি কেইনের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সামুয়েল উমতিতির গোলে সমতায় ফেরে ফ্রান্স। বিরতির খানিক আগে সিদিবের গোলে এগিয়ে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কেইনের পেনাল্টি গোলে ইংলিশরা সমতায় ফিরলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ দিকে উসমান দেম্বেলের গোলে জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের।

২০১৫ সালের নভেম্বরে লন্ডনের ওয়েম্বলিতে ইংলিশদের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল ফ্রান্স।

প্যারিসে ম্যাচের নবম মিনিটে গোছালো আক্রমণে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ডান দিক থেকে ডেলে আলির লম্বা ক্রস ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রাহিম স্টার্লিং ব্যাকহিল করেন ছুটে আসা রায়ান বার্ট্রান্ডকে। সাউথ্যাম্পটনের এই ডিফেন্ডারের আড়াআড়ি পাস গোলমুখে পেয়ে জালে ঠেলে দেন কেইন।

এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি ইংলিশদের। ২২তম মিনিটে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। অলিভিয়ে জিরুদের হেড গোলরক্ষক টম হিটন ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে যান উমতিতি, লক্ষ্যভেদে কোনো সমস্যায় হয়নি বার্সেলোনা ডিফেন্ডারের।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা লড়াইয়ে ৪৩তম মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন সিদিবে। মূল কৃতিত্ব অবশ্য দেম্বেলের। দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের এই মিডফিল্ডারের শট এবারও ঠেকিয়েছিলেন হিটন কিন্তু ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে জালে জড়ান মোনাকোর ডিফেন্ডার সিদিবে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বড় ধাক্কা খায় ফরাসিরা। আলিকে ডি-বক্সে রাফায়েল ভারানে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি এবং পরক্ষণেই ভিডিও রেফারির দিকে ইঙ্গিত করেন। পরে রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার ভারানেকে লাল কার্ডও দেখান। কেইনের সফল স্পটকিকে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড।

৬৫তম মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপে। দারুণ ক্ষিপ্রতায় ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মোনাকোর লিগ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই ফরোয়ার্ড; তবে ছুটে এসে রুখে দেন বদলি গোলরক্ষক জ্যাক বাটল্যান্ড। কিছুক্ষণ পর আবারও দলের রক্ষাকর্তা স্টোক সিটির এই গোলরক্ষক। ৬৯তম মিনিটে এমবাপের আরেকটি প্রচেষ্টা ক্রসবারে বাধা পায়।

অবশেষে ৭৮তম মিনিটে জয়সূচক গোল পেয়ে যায় ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ীরা। পল পগবার পাস ধরে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে এমবাপে বল বাড়ান ডান দিকে দেম্বেলেকে। কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২০ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।