ক্লাব পর্যায়ে ইউরোপ সেরার ফাইনালে ইউভেন্তুসকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামে টুর্নামেন্টটি পরিচিত হওয়ার পর প্রথম কোনো ক্লাব হিসেবে শিরোপা ধরে রাখল জিনেদিন জিদানের দল।
কার্ডিফের প্রিন্সিপালিটি স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে শুরুটা ভালো করে অবশ্য ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। চতুর্থ মিনিটে হিগুয়াইনের দূরপাল্লার শট ফেরাতে একটু বেগ পেতে হয় কেইলর নাভাসকে। দুই মিনিট পর মারিও মানজুকিচের ক্রসে মিরালেম পিয়ানিচের দূরপাল্লার জোরালো শট ডানে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত সেভ করেন কোস্টা রিকার এই গোলরক্ষক।
এ নিয়ে ইউরোপ সেরার আসরে তিনটি ফাইনালে গোল পেলেন রোনালদো। প্রথম দল হিসেবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫০০ গোলও হলো রিয়ালের।
বিরতির পর খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিন মিনিটের মধ্যে রিয়ালের দুই গোলে সমর্থকদের উৎসব শুরু হয়ে যায়। ৬১তম মিনিটে ডি-বক্সের অনেক বাইরে থেকে ব্রাজিলের মিডফিল্ডার কাসেমিরোর শট সামি খেদিরার পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। আর তিন মিনিট পর ডান দিকের বাই লাইন থেকে মদ্রিচের ক্রসে কাছ থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন রোনালদো।
৮৪তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা হুয়ান কুয়াদ্রাদো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা অনেকটা ফিকে হয়ে যায় মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির দলের।
রোনালদোর হ্যাটট্রিক না হলেও রিয়ালের বড় জয় নিশ্চিত হয় ইসকোর বদলি হিসেবে নামা আসেনসিওর গোলে। গোলের মূল কৃতিত্ব অবশ্য মার্সেলোর। বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলের জন্য বল বানিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলের এই ডিফেন্ডার।
প্রতিপক্ষ কোচ আল্লেগ্রির ট্রেবল জেতা আর হলো না। ১৯৯৬ সালে শেষবারের মতো শিরোপা জেতার পর পাঁচবার ফাইনালে উঠে হারলো ইউভেন্তুস।
সবচেয়ে বড় হতাশাটা হয়তো ম্যাচ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়া বুফ্ফনের। ফাইনালের আগে টুর্নামেন্টে মাত্র ৩ গোল খাওয়া এই ইতালিয়ানের প্রতিরোধ ভেঙে পড়লো দুর্দান্ত রিয়ালের সামনে। তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেও একবারও শিরোপার দেখা পেলেন না বর্ষীয়ান এই গোলরক্ষক।