বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অষ্টম মিনিটেই মামুনুলের দারুণ গোলে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। আফেজ ওলাওলে ওলাডিপোর কাট ব্যাকে ডি বক্সের বাইরে থেকে এই মিডফিল্ডারের নেওয়া মাটি কামড়ানো শট দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়।
এগিয়ে যাওয়ার পর ছন্দ হারায় ফেডারেশন কাপের গত আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া দলটি। রহমতগঞ্জ চড়াও হতে থাকে। ১৯তম মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে দলটির ফরোয়ার্ড রাশেদুল ইসলাম শুভর শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
৫১তম মিনিটে ডি-বক্সের একটু বাইরে মামুনুল ফাউলের শিকার হন। জাহিদ হোসেনের ফ্রি কিক ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে যায়। তিন মিনিট পর ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজকে তুলে নিয়ে মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে নামান চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ।
সমতায় ফিরতে মরিয়া রহমতগঞ্জ প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে। তবে দারুণ সব সেভ করে মোহাম্মদ নেহাল চট্টগ্রামের দলের ত্রাতা। ৬৭তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে মোহাম্মদ ফয়সালের শট সোজা নেহালের গ্লাভসে জমে যায়। একটু পর বাঙ্গুরার শট ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে ফেরানো এই গোলরক্ষক পরে শাহরানের গোলমুখ থেকে নেওয়া শটও আটকান।
৮৬তম মিনিটে সমতায় ফেরার সেরা সুযোগটি হারায় রহমতগঞ্জ। ডি বক্সের ওপর থেকে মোহাম্মদ হেলালের জোরালো শট নেহাল ফেরালেও বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি। শুভ বল পেলেও শট নিতে দেরি করায় সমতায় ফেরা হয়নি দলটির।
আগামী শনিবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও আবাহনী ক্রীড়া চক্র।