ইউরোপ সেরার মঞ্চে এর আগে চারবার মুখোমুখি হয়েছেন দুজন। সে লড়াইয়ে রোনালদোর আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার অনেক রসদই আছে।
বুফ্ফনের বিপক্ষে মোট ১৩টি শট নিয়ে পাঁচটি গোল করেছেন রোনালদো। আরও নির্দিষ্ট করে বললে গোল বরাবর ছয় শটে নিয়ে পাঁচবার বল জালে জড়িয়েছেন পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড। মাত্র একটি শটই ঠেকাতে পেরেছেন ফুফ্ফন।
তবে মুখোমুখি দ্বৈরথ বাদ দিলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে দুজনের পারফরম্যান্সই অসাধারণ। দেখে নেওয়া যাক, ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে কে কতটা নিজেকে মেলে ধরেছেন।
জানলুইজি বুফ্ফন
মোট সময় খেলেছেন: ৯ হাজার ৭৫০ মিনিট
গোল খেয়েছেন: ৯৭
ম্যাচ প্রতি গোল খেয়েছেন: ০.৯১
জাল অক্ষত রেখেছেন: ৪৭ ম্যাচে (৪৪ শতাংশ)
ম্যাচ জিতেছেন: ৫০
জয়ের হার: ৪৭ (শতাংশ)
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বেশি ম্যাচে জাল অক্ষত রাখা গোলরক্ষকদের তালিকায় পেতর চেকের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে আছেন ইতালির বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য বুফ্ফন।
৩৯ বছর বয়সে এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে জাল অক্ষত রেখেছেন বুফ্ফন। ১১ ম্যাচের আটটিতেই কোনো গোল খাননি তিনি। ২০০৪-০৫ মৌসুমে সাত ম্যাচে জাল অক্ষত রাখতে পেরেছিলেন তিনি।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো
মোট সময় খেলেছেন: ১২ হাজার ৩৯ মিনিট
গোল: ১০৩
ম্যাচ প্রতি গোল: ০.৭৪
গোল প্রতি মিনিট: ১১৭
গোলে মোট শট (ব্লক করাসহ): ৮০১
ম্যাচ প্রতি শট: ৫.৮
লক্ষ্যে মোট শট: ৩২২
ম্যাচ প্রতি লক্ষ্যে শট: ২.৩
গোল করিয়েছেন: ৩৩
গোল করেছেন ও করিয়েছেন: ১৩৬
১০৩ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোর চেয়ে ৯ গোল কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন মেসি। তৃতীয় স্থানে থাকা রাউল গনসালেসের গোল ৭১।
এবার ১২ ম্যাচে ১০ গোল করেছেন রোনালদো। প্রথম আট ম্যাচে মাত্র দুটি গোল করা এই ফরোয়ার্ড কোয়ার্টার-ফাইনালে জ্বলে ওঠেন; বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে দুই লেগে করেন পাঁচ গোল। আর সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে দলকে ৩-০ ব্যবধানে জেতান।
আগামী শনিবার কার্ডিফের ফাইনালে ইউভেন্তুসের বিপক্ষে আরেকবার জ্বলে ওঠার উপলক্ষ রোনালদোর।