নিজেদের মাঠে বুধবার ২-১ গোলে জিতেছে আতলেতিকো। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনালে পৌঁছেছে রিয়াল।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে প্রথম লেগে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর হ্যাটট্রিকে ৩-০ গোলে হেরে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল আতলেতিকো। রিয়ালকে বিদায় করতে নিজেদের মাঠে চার গোলের ব্যবধানে জয় দরকার ছিল দিয়েগো সিমেওনের শিষ্যদের।
আতলেতিকো এগিয়ে যেতে পারতো পঞ্চম মিনিটেই। সেবার কারাসকোর ক্রসে কোকের শট ঠেকিয়ে দেন কেইলর নাভাস। দুই মিনিট পর রিয়ালের কাসেমিরোর চমৎকার হেড ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক।
রিয়ালকে চাপের মধ্যে রাখা আতলেতিকোকে এগিয়ে নেওয়ার কৃতিত্ব সাউল নিগেসের। কোকের কর্নারে তার লাফানো দারুণ হেডে হাত ছোঁয়ালেও ফেরাতে পারেননি নাভাস।
চার মিনিট পর স্বাগতিকদের উল্লাসে মাতিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অঁতোয়ান গ্রিজমান। ফের্নান্দো তরেসকে রাফায়েল ভারানে ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল স্বাগতিকরা।
গত বছর ফাইনালে পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারা গ্রিজমান এবার ব্যর্থ হননি। নাভাস হাত ছোঁয়ালেও বলের জালে যাওয়া ঠেকাতে পারেননি।
এই গোলটি ছিল যেন রিয়ালের জেগে উঠার বার্তা। ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১১ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
এই গোলের পর ফাইনালে যেতে আরও তিনবার রিয়ালের জালে বল পাঠাতে হতো আতলেতিকোকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেয়ে যাচ্ছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের মালিক রোনালদো। তার বুলেট গতির ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে সেবার ত্রাতা ওবলাক।
৬৭তম মিনিটে নাভাসের অসাধারণ দক্ষতায় বেঁচে যায় রিয়াল। কারাসকোর শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেওয়ার পরপরই এই গোলরক্ষক ব্যর্থ করে দেন গামেইরোর হেড।
টানা চার মৌসুমে এই দলের জন্যই ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে খালি হাতে ফিরতে হলো আতলেতিকোকে। ২০১৩-১৪ ও ২০১৫-১৬ আসরে ফাইনালে হারতে হয়েছিল নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে। মাঝে ২০১৪-১৫ আসরের কোয়ার্টার-ফাইনালেও রিয়ালের কাছে হারে আতলেতিকো।
আগামী ৩ জুনের ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ইউভেন্তুস।