পারল না আতলেতিকো, ফাইনালে রিয়াল

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ গেরো এবারও কাটানো হল না আতলেতিকো মাদ্রিদের। সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে জিতেও ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিয়েছে দলটি। রেকর্ড পঞ্চদশবারের মতো ফাইনালে উঠেছে শিরোপাধারী রিয়াল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2017, 08:45 PM
Updated : 10 May 2017, 09:29 PM

নিজেদের মাঠে বুধবার ২-১ গোলে জিতেছে আতলেতিকো। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনালে পৌঁছেছে রিয়াল।

সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে প্রথম লেগে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর হ্যাটট্রিকে ৩-০ গোলে হেরে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল আতলেতিকো। রিয়ালকে বিদায় করতে নিজেদের মাঠে চার গোলের ব্যবধানে জয় দরকার ছিল দিয়েগো সিমেওনের শিষ্যদের।

ভিসেন্তে কালদেরনে বুধবার স্বাগতিকদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। প্রথম ১৬ মিনিটে দুইবার রিয়ালের জালে বল পাঠায় দলটি।

আতলেতিকো এগিয়ে যেতে পারতো পঞ্চম মিনিটেই। সেবার কারাসকোর ক্রসে কোকের শট ঠেকিয়ে দেন কেইলর নাভাস। দুই মিনিট পর রিয়ালের কাসেমিরোর চমৎকার হেড ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক।

রিয়ালকে চাপের মধ্যে রাখা আতলেতিকোকে এগিয়ে নেওয়ার কৃতিত্ব সাউল নিগেসের। কোকের কর্নারে তার লাফানো দারুণ হেডে হাত ছোঁয়ালেও ফেরাতে পারেননি নাভাস।

চার মিনিট পর স্বাগতিকদের উল্লাসে মাতিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অঁতোয়ান গ্রিজমান। ফের্নান্দো তরেসকে রাফায়েল ভারানে ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল স্বাগতিকরা।

গত বছর ফাইনালে পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারা গ্রিজমান এবার ব্যর্থ হননি। নাভাস হাত ছোঁয়ালেও বলের জালে যাওয়া ঠেকাতে পারেননি।

এই গোলটি ছিল যেন রিয়ালের জেগে উঠার বার্তা। ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১১ বারের চ্যাম্পিয়নরা।

উৎকণ্ঠায় থাকা রিয়াল সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান ইসকো। তার ৪২তম মিনিটের গোলে দারুণ অবদান করিম বেনজেমার। ফরাসি স্ট্রাইকার দারুণ কারিকুরিতে তিন খেলোয়াড়কে ফাঁকি দিয়ে বাইলাইন থেকে বল বাড়ান টনি ক্রুসকে। জার্মান মিডফিল্ডারের জোরালো শট কোনোরকমে ঠেকিয়ে দেন ওবলাক। ফিরতি বলে ইসকোর জোরালো শট ঠেকানোর কোনো সুযোগই তার ছিল না।

এই গোলের পর ফাইনালে যেতে আরও তিনবার রিয়ালের জালে বল পাঠাতে হতো আতলেতিকোকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেয়ে যাচ্ছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের মালিক রোনালদো। তার বুলেট গতির ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে সেবার ত্রাতা ওবলাক।

৬৭তম মিনিটে নাভাসের অসাধারণ দক্ষতায় বেঁচে যায় রিয়াল। কারাসকোর শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেওয়ার পরপরই এই গোলরক্ষক ব্যর্থ করে দেন গামেইরোর হেড।

বাকি সময়ে গোল পায়নি কোনো দলই। প্রতিপক্ষের মাঠে হেরেও জয় উৎসব করে রিয়াল।

টানা চার মৌসুমে এই দলের জন্যই ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে খালি হাতে ফিরতে হলো আতলেতিকোকে। ২০১৩-১৪ ও ২০১৫-১৬ আসরে ফাইনালে হারতে হয়েছিল নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে। মাঝে ২০১৪-১৫ আসরের কোয়ার্টার-ফাইনালেও রিয়ালের কাছে হারে আতলেতিকো।

আগামী ৩ জুনের ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ইউভেন্তুস।