রোববার স্থানীয় সময় বিকালে শুরু হওয়া ম্যাচে আন্তোনিও কোন্তের দল তিনটি গোলই পায় দ্বিতীয়ার্ধে। পেদ্রোর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান গ্যারি ক্যাহিল। তৃতীয় গোলটি করেন উইলিয়ান।
ঘরের মাঠে এভারটনের শুরুটা হতে পারতো দুর্দান্ত। দ্বিতীয় মিনিটে ইংলিশ মিডফিল্ডার ডমিনিক কালভার্ট-লুইনের শট একজনের গায়ে লেগে গোলরক্ষক থিবো করতোয়ার আঙুল ছুঁয়ে পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় চেলসি।
২২তম মিনিটে মাঝমাঠের কাছ থেকে ছুটে তিন জনকে পিছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন নেমানিয়া মাতিচ। কিন্তু শেষে গোলরক্ষক বরাবর শট মেরে বসেন সার্বিয়ার এই মিডফিল্ডার। পরের মিনিটে এভারটনের স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকুর শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
শীর্ষে থাকা চেলসির গোলের অপেক্ষা শেষ হয় ৬৬তম মিনিটে। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে জোরালো শটে দলকে এগিয়ে দেন স্পেনের ফরোয়ার্ড পেদ্রো।
৭৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে অতিথিরা। এডেন হ্যাজার্ডের নীচু ফ্রি-কিক গোলরক্ষক ফেরালেও ক্যাহিলের হাঁটুতে লেগে জালে ঢুকে যায়।
আর ৮৬তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে সব অনিশ্চয়তার ইতি টানেন উইলিয়ান। দিয়েগো কস্তার বাড়ানো বল ডি-বক্সে ঢুকে পড়া ফাব্রেগাসের কাটব্যাক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন একটু আগেই বদলি নামা ব্রাজিলের এই মিডফিল্ডার।
এই জয়ের পর শীর্ষে থাকা চেলসির পয়েন্ট হলো ৩৪ ম্যাচে ৮১। শেষ চার ম্যাচের তিনটিতে জিতলেই আর কোনো হিসাব ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন হবে তারা।
অন্য ম্যাচে মিডলসবরোর মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৩৪ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট পেপ গুয়ার্দিওলার দলের।
দিনের প্রথম ম্যাচে সোয়ানসি সিটির সঙ্গে ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে জোসে মরিনিয়োর দল।