শনিবার রাতে এসপানিওলকে তাদেরই মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়েছে লুইস এনরিকের দল। তাদের অন্য গোলটি ইভান রাকিতিচের। অতিথিরা তিনটি গোলই পায় ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে।
আগের ম্যাচে বেঞ্চে বসে বার্সেলোনার গোল উৎসব দেখেছিলেন, এবার দলের জয়ের নায়ক সুয়ারেস। তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে যথারীতি ভীতি ছড়িয়েছেন নেইমার। গোল না পাওয়া লিওনেল মেসিও ছিলেন উজ্জ্বল।
এই জয়ের পর বার্সেলোনার পয়েন্ট ৩৫ ম্যাচে ৮১। সমান পয়েন্ট হলেও মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এক ম্যাচ কম খেলা জিনেদিন জিদানের দল।
প্রতিবেশীদের মাঠে বার্সেলোনার শুরুটা ছিল অস্বস্তিকর। তৃতীয় মিনিটে পাবলো পিয়াত্তির সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে পায়ে আঘাত পান সের্হি রবের্তো। দুই মিনিট পর পিছিয়ে পড়তে বসেছিল তারা; তবে গোলরক্ষককে একা পেয়েও স্পেনের মিডফিল্ডার হুরাদোর শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বেঁচে যায় চ্যাম্পিয়নরা।
শুধু শুরুটা নয় পুরো প্রথমার্ধেই বার্সেলোনার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। বল দখল ও আক্রমণে আধিপত্য ছিল তাদেরই; কিন্তু প্রতিটি আক্রমণেরই শেষদিকে খেই হারিয়ে ফেলে। বিরতির আগে তৈরি করতে পারেনি নিশ্চিত কোনো সুযোগ।
১০ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো; কিন্তু বাঁ-দিক থেকে নেইমারের বাঁকানো শট দারুণ নৈপুণ্যে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক দিয়েগো লোপেস।
৭৬তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। গোলটিতে বড় অবদান মেসির। মাঝমাঠের কাছ থেকে দারুণ গতিতে ছুটে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে পিছনে ফেলে ডি-বক্সের সামনে আরও দুজনের মধ্য দিয়ে বাঁ-দিকে পাস দেন। ফাঁকায় বল পেয়ে প্রথম শটেই জালে জড়ান ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার রাকিতিচ।
এবারের লিগে এটা তার ২৬তম গোল। ৩৩ গোল নিয়ে তালিকায় শীর্ষে মেসি।