এক্ষেত্রে ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটির অর্থ খরচের ব্যাপারটি তুলে ধরেন ইতালির এই কোচ। মিডফিল্ডার পল পগবাকে কিনতে বিশ্ব রেকর্ড প্রায় ১১ কোটি ইউরো খরচ করে ইউনাইটেড। আর ডিফেন্ডার জন স্টোনসকে কিনতে সিটি খরচ করে প্রায় ৫ কোটি ৬০ লাখ ইউরো।
এবারের প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে ৩২ ম্যাচ থেকে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা চেলসি। ৪ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে টটেনহ্যাম হটস্পার।
চেলসি থেকে ১১ পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে সিটি। আর ১২ পয়েন্ট কম নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ইউনাইটেড। দলগুলোর হাতে আছে আর ছয়টি করে ম্যাচ।
কোন্তে বলেন, “সব সময় এমন নয় যে যারা বেশি অর্থ খরচ করে তারাই বেশি জিতে; এটা বুঝতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ।”
“এটাই একমাত্র মৌসুম নয় যে দুই ম্যানচেস্টার ক্লাব প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে। অতীতের দিকে তাকিয়ে দেখুন।”
প্রায় ২০ কোটি ৬০ লাখ ইউরো এই তালিকায় শীর্ষে ছিল সিটি। প্রায় ১৭ কোটি ৬৫ লাখ ইউরো খরচ করে পরের স্থানেই ছিল ইউনাইটেড। আর প্রায় ৮ কোটি ২৪ লাখ ইউরো ব্যয়ে চতুর্থ স্থানে টটেনহ্যাম।
প্রিমিয়ার লিগের বল-বদলের এই বাজারকে ‘পাগলাটে’ মনে করেন কোন্তে।
“আমরা চাই তৈরি করতে, ধীরে ধীরে সত্যিকারের একটি শক্তি হতে।”
কোন্তের অধীনে প্রথম মৌসুমেই ঘরোয়া ডাবল জয়ের পথে হাঁটছে চেলসি। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ২৭ মে এফএ কাপের ফাইনালে আর্সেনালের মুখোমুখি হবে তারা।
প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাটি নিজের কোচিং ক্যারিয়ারে সেরা অর্জন হবে কি-না, এ ব্যাপারে ইউভেন্তুসকে টানা তিনবার সেরি আ শিরোপা জেতানো বেই কোচের উত্তর- “হ্যাঁ, নিশ্চিতভাবে। আমার জন্য, খেলোয়াড়দের জন্য ও ক্লাবের জন্য। বর্তমানে ইংল্যান্ডে জেতাটা সহজ নয়।”