২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ওই সময়ের রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর থেকেই দলটির সেরা খেলোয়াড় রোনালদো। এই সময়ে তিনবার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন, হয়েছেন ক্লাবের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
এত প্রাপ্তির পরও সমালোচনা পিছু ছাড়েনি। তাকে উদ্দেশ করে সমর্থকদের দুয়ো দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অনেকবার। মঙ্গলবার রাতেও ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচেও তাকে দুয়ো দেয় স্বাগতিক কিছু সমর্থক। এক পর্যায়ে ঠোটের উপর আঙুল দিয়ে গ্যালারিকে চুপ করতে ইশারা করেন রোনালদো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রবের্ত লেভানদোভস্কির গোলে পিছিয়ে পড়া দলকে ৭৬তম মিনিটে হেডে সমতা ফেরান রোনালদো। আর অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচের ১০৪ ও ১০৯তম মিনিটে বাকি দুই গোল করেন।
ম্যাচ শেষে স্পেনের টিভি আন্তেনা থ্রিকে রোনালদো বলেন, “আমি তাদের চুপ করতে বলি না, কখনও না। আমি শুধু তাদেরকে শিস দিতে নিষেধ করেছি। কারণ আমি প্রতি ম্যাচেই আমার সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করি। কখনও কখনও যদিও গোল করতে পারি না, কিন্তু আমি রিয়াল মাদ্রিদকে সাহায্য করতে কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টা করি।”
“আমি ইতিবাচক দিকগুলো নিয়েই আছি। দল দারুণ করেছে, আমরা ভালো খেলেছি এবং অবশ্যই আমি গোলগুলোর জন্য খুশি।”
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় করা ওই দুই গোলেই প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে উয়েফার ক্লাব প্রতিযোগিতায় গোলের শতক করেন রোনালদো। আর এবার প্রথম ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শততম গোল করেন ৩২ বছর বয়সী এই তারকা ফরোয়ার্ড।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৩৭ ম্যাচ খেলে এই মাইলফলকে পৌঁছালেন রোনালদো। ২০০৭ সালে রোমার বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রতিযোগিতায় নিজের প্রথম গোলটি করেছিলেন তিনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের বিপক্ষেই সবচেয়ে সফল রোনালদো। জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে তার গোল ৯টি, অন্য যে কোনো প্রতিপক্ষের চেয়ে দুটি বেশি। দেশভিত্তিক ক্লাব বিবেচনাতেও জার্মানদের বিপক্ষে সবচেয়ে সফল তিনি; জার্মান ক্লাবগুলোর বিপক্ষে করেছেন ২৩টি গোল, যা অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে ১০টি বেশি।