নেইমার-সুয়ারেসে বার্সার বড় জয়

লিওনেল মেসির অনুপস্থিতিতে জ্বলে উঠলেন নেইমার ও লুইস সুয়ারেস। ব্রাজিলিয়ান তারকার জাদুকরী ফুটবল ও উরুগুয়ে স্ট্রাইকারের ক্ষিপ্রতায় একের পর এক আক্রমণ শানানো বার্সেলোনা ৪-১ গোলে হারিয়েছে অবনমন অঞ্চলের দল গ্রানাদাকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2017, 08:55 PM
Updated : 3 April 2017, 07:35 AM

রোববার রাতে সুয়ারেসের গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গ্রানাদা সমতা ফেরালেও চ্যাম্পিয়নদের রুখতে পারেনি। পাকো আলকাসেরের গোলে ফের এগিয়ে যাওয়ার পর আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান বাড়ে। চতুর্থ গোলটি করে ক্লাবের হয়ে শততম গোলের মাইলফলকে পৌঁছান নেইমার।

প্রতিপক্ষের মাঠে শুরু থেকে গোছানো ফুটবল খেলা বার্সেলোনা প্রথম ২০ মিনিটে বেশ কবার আক্রমণে ওঠে; কিন্তু প্রতিবারই শেষ মুহূর্তে খেই হারিয়ে ফেলে। ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো কাতালান দলটি; কিন্তু সুয়ারেসের শট ক্রসবারে লাগে। ফিরতি বল নেইমার জালে পাঠালেও অফসাইডে ছিলেন তিনি।

তিন মিনিট পর সুয়ারেসকে দুবার বিমুখ করেন গোলরক্ষক। প্রথমবার উরুগুয়ের স্ট্রাইকারের জোরালো শট দারুণ নৈপুণ্যে ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর ফিরতি বলে তার কোনাকুনি শট রুখে দেন গিলের্মো ওচোয়া। ৩৩তম মিনিটে আবারও দলের রক্ষাকর্তা মেক্সিকোর এই গোলরক্ষক। আরও একবার হতাশায় ডোবেন বার্সেলোনার গত মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

তবে দারুণ ছন্দে থাকা সুয়ারেসকে বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেননি ওচোয়া। জর্দি আলবার বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে পাঠান লিভারপুলের সাবেক এই স্ট্রাইকার।

এবারের লিগে সুয়ারেসের গোল হলো ২৩টি। দুই গোল বেশি নিয়ে তালিকার শীর্ষে নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচ খেলতে না পারা লিওনেল মেসি।

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কবার রক্ষণভাগের দুর্বলতায় ভুগতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। এদিন আরও একবার তা ফুটে ওঠে। আর সেই সুযোগে ৫০তম মিনিটে সমতায় ফেরে প্রথমার্ধের কোণঠাসা গ্রানাদা।

এক সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন বুসকেতস, জেরেমি মাথিউ, জর্দি আলবা। দ্রুত গতিতে তাদের মধ্যে দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন কিছুক্ষণ আগেই বদলি নামা ফরাসি মিডফিল্ডার জেরেমি বোগা।

স্বাগতিকদের সমতায় ফেরার স্বস্তি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৬৪তম মিনিটে সুয়ারেসের উঁচু করে বাড়ানো বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে দলকে ফের এগিয়ে দেন রাফিনিয়ার বদলি নামা আলকাসের।

৮২তম মিনিটে নাইজেরিয়ার ডিফেন্ডার উচে আগবো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় গ্রানাদা। পরের মিনিটেই ডিফেন্ডার সাউনিয়েরের আত্মঘাতী গোলে স্কোরলাইন হয়ে যায় ৩-১।

দুইজনকে কাটিয়ে নেইমার ছোট পাস দেন সুয়ারেসকে আর তিনি বাড়ান রাকিতিচকে। ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডারের শট সাউনিয়েরের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

পরের পাঁচ মিনিটে নেইমার জাদুতে আরও দুটি সুযোগ পায় বার্সেলোনা; কিন্তু ব্যবধান বাড়েনি। এর মধ্যে একবার নিজেই লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড।

অবশেষে যোগ করা সময়ে জালের দেখা পান নেইমার। ডান দিক থেকে সুয়ারেসের পাস ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে দলের শেষ গোলটি করেন সময়ের অন্যতম সেরা তারকা। অন্তিম মুহূর্তে পেতে পারতেন আরেকটি; কিন্তু বল পোস্টে বাধা পায়।

এই জয়ের পর ২৯ ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৬৬, দ্বিতীয় স্থানে তারা।

আগের ম্যাচে দেপোর্তিভো আলাভেসকে ৩-০ গোলে হারায় রিয়াল মাদ্রিদ। ২৮ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে জিনেদিন জিদানের দল।

২৯টি করে ম্যাচ খেলা আতলেতিকো মাদ্রিদ ও সেভিয়ার পয়েন্ট সমান ৫৮।