২০১৩ সালে আট কোটি ৬০ লাখ ইউরো ট্রান্সফার ফিতে সান্তোস থেকে বার্সেলোনার যোগ দেন নেইমার। তবে শুরুতে ট্রান্সফার ফির মোট অঙ্ক লুকিয়েছিল স্পেনের ক্লাবটি। এর ফলে তাদেরকে ঠকানো হয়েছে বলে দাবি করে ডিআইএস। নেইমারের ক্রীড়া স্বত্বের ৪০ শতাংশের মালিক ছিল প্রতিষ্ঠানটি।
পরবর্তীতে মামলা ঠুকে দেয় ডিআইএস। ওই মামলায় এখন কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে নেইমার ও জড়িত সবাইকে।
এবারই প্রথম জনসস্মুখে কথা বলা ডিআইএসের প্রতিষ্ঠাতা দেলসির সোন্দা।
“আমাদের শিশুদের জন্য সে উদাহরণ হতে পারে না।”
নেইমারের দল-বদলের সময় এক কোটি ৭০ লাখ ইউরোর ৪০ শতাংশ পেয়েছিল ডিআইএস। তবে তাদের দাবি, চুক্তির পুরো অঙ্কের ৪০ শতাংশ পাওয়ার কথা ছিল তাদের।
“আমরা নেইমারকে বিশ্বাস করেছিলাম। ২০০৮ সালে তার বাবা ও এজেন্টের মাধ্যম যুক্ত হয়েছিলাম এবং আলোচনা করেছিলাম। ছেলেটিকে কিনতে আমরা নিলামে অংশ নিয়েছিলাম। আমি তার উপর, তার ভবিষ্যতের উপর বিনিয়োগ করি। তার পেশাদার অভিষেকের আগেই আমরা তার উপর বাজি ধরেছিলাম।”
“আমরা ১৬ লাখ ৩০ হাজার ইউরো বিনিয়োগ করেছিলাম। আমরা পরিবারটির সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিলাম, আমরা তার বাবার লন্ডন যাত্রার এবং তার পরিবারের জেরুজালেম যাত্রার খরচ দিয়েছিলাম। এখন এই ছেলে কিভাবে বলে যে, সে আমাকে চিনে না। আমার পিঠে ছুরি মারা হয়েছে।”
“আমরা তার কথায় বিশ্বাস করেছিলাম। আমি একজন আন্তরিক ব্যবসায়ী, বিশ্বাসঘাতক নই। নেইমার এবং তার বাবা ও মার দ্বারা আমি প্রতারিত হয়েছি। নেইমার, তার বাবা-মা ও বার্সেলোনা মিলে এই ষড়যন্ত্র করেছে। … আমি ন্যায়বিচার চাই।"