গোলমুখ আগলে রাখতে চান চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ

দক্ষিণ কোরিয়ার দল এফসি পচেয়নের খেলোয়াড়দের গতি, দ্রুত স্থান বদল করে খেলার কৌশল আটকানোর ছক কষছেন সাইফুল বারী টিটো। চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচের মনে হচ্ছে, নিজেদের গোলমুখ আগলে রাখার কাজটা ঠিকঠাক করতে পারলে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ফাইনালে ওঠার ভালো সুযোগ আছে তার দলের সামনে।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2017, 02:16 PM
Updated : 26 Feb 2017, 02:30 PM

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল। সোমবার শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে অনুশীলন শুরুর আগে টিটো দলের সার্বিক অবস্থা, এফসি পচেয়নকে আটকানোর কৌশল নিয়ে কথা বলেন।

এক জয় ও দুই ড্রয়ে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেরা চারে উঠলেও গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর রক্ষণভাগ ছিল না জমাট। নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধূরীর সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে রক্ষণ সামলাতে প্রায় হিমশিম খেয়েছেন মনসুর আমিন, ইয়ামিন আহমেদ মুন্না। মানাং মার্সিয়াংদির কাছে দুই গোল হজমও করে বসে দলটি। শেষ পর্যন্ত নাটকীয় ড্রয়ে শেষ রক্ষা হয় প্রতিযোগিতাটির শিরোপাধারীদের।

রক্ষণভাগ নিয়ে তাই চিন্তিত টিটো খুঁজছেন এফসি পচেয়নকে আটকানোর কৌশল। দক্ষিণ কোরিয়ার খেলা সম্পর্কে ধারণা থাকায় এ ম্যাচের রক্ষণভাগে পরিবর্তন আনার কথাও ভাবছেন।

“এফসি পচেয়নও একই ধাঁচে খেলে। ওরা যখন আক্রমণে ওঠে,তখন ওদের দুই উইংয়ের খেলোয়াড় একই লাইনে থাকে। ওরা মাঠজুড়ে খেলবে। হঠাৎ অবস্থান বদলাবে। মাঝ মাঠেও অনবরত রোটেশন করে। তাই আমরা ম্যান মার্কিংয়ে যাব না। ওভাবে আসলে পারব না।। কেননা, আমাদের খেলোয়াড়দের সবসময় দেরি হয়ে যায়। যখন কিছু ঘটে যায়, তখন আমরা বুঝে উঠি। তার আগে বুঝতে পারি না। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে বুদ্ধি করে খেলতে হবে।

“আসল জায়গাটা হলো গোলের সামনে। এর আশাপাশে তারা যতই থ্রেট করুক (আক্রমণ করুক), আমরা গোলমুখ আগলে রাখতে পারলেই হলো। ওই জায়গাটা বেশি শক্তিশালী করার চেষ্টা করব। তাই রক্ষণে পরিবর্তন আসতে পারে। অ্যাডাম জানকাশা আছে, সেও খেলতে পারে।”

রক্ষণ জমাট করতে গিয়ে আবার এফসি পচেয়নকে মাঝমাঠে পুরোপুরি ছড়ি ঘোরাতে দিতে চান না টিটো। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিপক্ষকে যে কোনো জায়গাতে আটকানোর পরিকল্পনা তার।

“আপনি ওদের জোনেও ডিফেন্ডিং করতে পারেন। বল হারালেন, ওখানেই দাঁড়িয়ে গেলেন। কিংবা মিডফিল্ড বা রক্ষণে এসেও ডিফেন্ডিং করতে পারেন। আসলে কোথায় আমরা ডিফেন্ড করব সেটা নির্ভর করবে খেলার পরিস্থিতি অনুযায়ী।”

“তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে আগে গোল না খাওয়া। এটা করতে গিয়ে শুরুতে বেশি রক্ষণাত্মক হয়েও যেতে পারি। কেননা, আমাদের চেয়ে ওদের খেলোয়ারদের টেকনিক্যাল কোয়ালিটি অনেক ভালো। বল নিয়ে তারা অনেক স্বচ্ছ্ন্দ্য। যদি তাদের ওপরে খেলার জন্য বেশি জায়গা দেই, তাহলে তারা আমাদের ওপর আধিপত্য করতে পারে। তাই তাদের কম জায়গা দেওয়ার পরিকল্পনাও থাকবে।”