মঙ্গলবার রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আগুয়েরোর নৈপুণ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোরে প্রথম লেগে মোনাকোর বিপক্ষে ৫-৩ গোলের জয় পায় সিটি। দুবার পিছিয়ে পড়া স্বাগতিকরা প্রতিবারই তার গোলেই সমতায় ফেরে।
ম্যাচ শেষে গুয়ার্দিওলার দলের অংশ হয়েই থাকার ইচ্ছার কথা জানান আগুয়েরো।
বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক কোচ গুয়ার্দিওলার অধীনে শুরুতে দারুণ পারফরম্যান্স দেখান এই ফরোয়ার্ড। প্রথম ছয় ম্যাচে গোল করেন ১১টি।
তবে শুরুর সাফল্য ধরে রাখতে পারেননি। ধীরে ধীরে আগুয়েরোর জন্য সময়টা কঠিন হয়ে ওঠে। দুইবার অখেলোয়াড়সূলভ আচরণের জন্য মোট সাত ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন। তিনবার স্পটকিকে গোল করতে ব্যর্থ হন। সবশেষে গত মাসে গাব্রিয়েল জেসুসের কাছে জায়গা হারান।
কিন্তু ১৯ বছর বয়সী ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড চোটে পড়ায় শুরুর একাদশে ফিরেন আগুয়েরো। আর মোনাকোর বিপক্ষে প্রয়োজনের সময় স্বরূপে জ্বলে ওঠে সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি ছয় ম্যাচ গোল খরায় থাকা আক্রমণভাগের এই খেলোয়াড়।
ম্যাচ শেষে আগুয়েরো কোচের সঙ্গে তার বোঝাপড়া নিয়ে বলেন, "সত্যিটা হলো আমরা খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিচ্ছি।"
"অবশ্যই, আমাকে এই ত্যাগ করতে হবে। যা আমাদের সবাইকে করতে হবে। ভাগ্যক্রমে এটা কাজে দিয়েছে আর দেখা যাক, আমরা এটা পরের ম্যাচেও ধরে রাখতে পারি কি-না।"
সিটির সঙ্গে আগুয়েরোর চুক্তি ২০২০ সাল পর্যন্ত। তবে এখানে কতদিন থাকবেন- সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি কোচের উপর ছেড়ে দেন ২৮ বছর বয়সী এই তারকা।
"সত্যি বলতে এগুলো কোচের সিদ্ধান্তের বিষয়। আমি কেবল খেলার জন্য লড়াই করে যেতে পারি।"
"সৌভাগ্যক্রমে তিনি আমাকে মূল্যায়ন করেছেন। এখন আমি দলকে সহযোগিতা করতে চাই এবং আমি কী করতে পারি সেটা দেখাতে চাই। আমি সবসময়ই বলেছি, আমি এই ক্লাবে থাকতে চাই।"
তবে মৌসুম শেষে তার এখানে থাকা না থাকার বিষয়টি যে ক্লাবের উপরই নির্ভর করবে, সেটাও জানিয়ে দিলেন আগুয়েরো।