‘প্রথম লক্ষ্য সেমি-ফাইনাল’

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ তো আছেই। এর সঙ্গে আছে চেনা মাঠে, চেনা দর্শকের সামনে খেলার চাপ। চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ সাইফুল বারী টিটো অবশ্য জানালেন চাপ না নিয়ে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যের কথা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2017, 04:52 PM
Updated : 17 Feb 2017, 04:53 PM

চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে আগামী শনিবার আফগানিস্তানের ঘরোয়া ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন শাহিন আসমায়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মুকুট ধরে রাখার মিশনে নামবে চট্টগ্রামের দলটি। একটু একটু করে এগুনোর ছক কষলেও নিজের দলকে ফেভারিটের তালিকায় রাখছেন জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ। 

“ঢাকা আবাহনী তো লিগের চ্যাম্পিয়ন। এফসি আলগা দলেও ন্যাশনাল টিমের খেলোয়াড় আছে। আমরাও নিশ্চিতভাবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেব লড়াইয়ে নামব। তবে এটাকে চাপ হিসেবে নিচ্ছি না। কিন্তু যেহেতু হোম টিম, ধাপে ধাপে এগোনোই হবে বড় কথা। সেমিতে ওঠা প্রথম লক্ষ্য।”

“ডিফেন্ডং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমরাও ফেভারিট। কোরিয়ান টিমটা (এফসি পচেয়ন) সম্পর্কে ধারণা নেই। আফগানিস্তানের দলটাকেও সমীহ করতে হবে। তাদেরওকে হালকাভাবে নিচ্ছি না; শারীরিকভাবে তারা শক্তিশালী। আসলে প্রথম ম্যাচ দেখলে বুঝতে পারব বাকি দলের অবস্থা। প্রথম ম্যাচ দেখলে আপনারাও বুঝে যাবেন কারা ফেভারিট।”

গত জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম আবাহনীর হাল ধরেছেন টিটো। মাঝে জাতীয় দলের ক্যাম্পের জন্য মামুনুলরা না থাকায় পুরো দল নিয়ে প্রস্তুতিও নিতে পারেননি। তাছাড়া এলিসন উডোকাকে না পাওয়াটা টিটোর ভাবনা আরও বাড়িয়েছে।

“টিমের অবস্থা… এখন পর্যন্ত পুরো টিম পাইনি। গত কাল মামুনুল যোগ দিয়েছে। সে অসুস্থ, ওর টনসিলের সমস্যা। জাহিদের (হোসেন) বাবা মারা যাওয়ার পর চলে গিয়েছিল। এখনও পুরো দল পাইনি।”

“বিদেশিদের মধ্যে ব্রাদার্সের এলিটা কিংসলে, অগাস্টিন ওয়ালসন, মুফতা লাওয়াল আর অ্যাডামস। এই চারজনের সঙ্গে তাইসন সিলভাও আছে। এলিসনের আসার কথা ছিল কিন্তু ছেলের অসুস্থতার কারণে সে আসছে না। ওকে আমরা মিস করব।”

স্বাধীনতা কাপ জিতে মৌসুম শুরু করা চট্টগ্রাম আবাহনী ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লিগে প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। শেখ কামাল ক্লাব কাপে তা মিলবে কিনা, সময়ই বলে দেবে। খেলোয়াড়দের ফিটনস নিয়ে একটু দুর্ভাবনা থাকার মধ্যেই প্রথম ম্যাচটার দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে টিটো।

“জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে আসার পর অনেককে রিকভারির জন্য সময় দিতে হয়েছে। আসলে প্রথম ম্যাচ হলে ফাইন টিউনটা বুঝতে পারব। আমি চেষ্টা করেছি সবার ফিটনেস যেন চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকে। এ কারণে প্রথম ম্যাচ আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।”