মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান ও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিচারে বার্সেলোনাকেই ফেভারিট মানছিল অনেকে। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ম্যাচের শুরু থেকেই দৃশ্যপট পাল্টে যেতে থাকে।
টানা আক্রমণ করে যাওয়া পিএসজি অষ্টাদশ মিনিটে দি মারিয়ার দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে এগিয়ে যায়। ইউলিয়ান ড্রাক্সলারের গোলে বিরতির আগেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার দি মারিয়ার দ্বিতীয় ও কাভানির একমাত্র গোলে ৪-০ ব্যবধানে জিতে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
প্রতিপক্ষের মাঠে বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ হিসেবে সের্হিও বুসকেতস কৌশলগত ও শারীরিকভাবে নিজেদের পিছিয়ে থাকার কথা বলেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এনরিকেও তাতে দ্বিমত পোষণ করেননি।
হারের দায় নিয়ে এনরিকে বলেন, "সহজ বিষয়ে আর সময় নষ্ট না করি- এটা রোমাঞ্চকর একটা খেলা এবং সবসময়ই তাতে জটিলতা আছে। দায়-দায়িত্ব আমার। আপনাদের যদি কারো দোষ খুঁজতে হয় তাহলে সেটা আমি। খেলোয়াড়রা তারাই আছে যারা অন্য দিনগুলোতে জিতছে।"
এতবড় হারের পর টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে ইতিহাস গড়তে হবে বার্সেলোনাকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে নকআউট পর্বে এর আগে কোনো দল প্রথম লেগে ৪-০ গোলে হারের পর ফিরতি পর্বে সে ব্যবধানে ঘোচাতে পারেনি।
অসাধ্য সাধনের লক্ষ্যে আগামী ৮ মার্চ ঘরের মাঠ কাম্প নউয়ে খেলবে ২০১৪-১৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা।