সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিযোগিতাটির দ্বিতীয় আসরের ট্রফি উন্মোচন করা হয়। এরপর হয় ড্র।
‘এ’ গ্রুপে আবাহনীর সঙ্গী এফসি আলগা, পচেয়ন সিনিজেন ক্লাব ও টিসি স্পোর্টস। আবাহনী ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন। এফসি আলগা কিরগিজস্তানের ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়ন। টিসি স্পোর্টস মালদ্বীপের দ্বিতীয় বিভাগ থেকে এবারই প্রথম দেশটির ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে উঠে এসেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দল পচেয়ন দেশটির চতুর্থ সারির লিগ কেথ্রির পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন।
‘বি’ গ্রুপের চার দল মোহামেডান, চট্টগ্রাম আবাহনী, মানাং মার্সিয়াংদি ও শাহিন আসমায়ে এফসি। মোহামেডান ঘরোয়া ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী দল হলেও গত মৌসুমের লিগ শেষ করেছে ১২ দলের মধ্যে দশম হয়ে। মানাং মার্সিয়াংদি নেপালের ঘরোয়া লিগের ২০১৩-১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন। আর আফগানিস্তানের ঘরোয়া লিগের সেরা শাহিন আসমায়ে।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রতিযোগিতাটির দ্বিতীয় আসর। চট্টগ্রাম আবাহনী এবার চেনা মাঠে মুকুট ধরে রাখার লড়াইয়ে নামবে।
অন্যদিকে ফেডারেশন কাপ ও লিগ শিরোপা জেতা আবাহনীর সামনে ট্রেবল জয়ের হাতছানি। কিন্তু কঠিন গ্রুপে পড়ায় আপাতত সেমি-ফাইনালে ওঠা নিয়ে মনোযোগ থাকবে বলে জানান দলটির ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু।
“সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে আমাদের গ্রুপটা কঠিন। তবে আবাহনী সবসময় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল গড়ে, খেলে। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপেও আমাদের লক্ষ্য শিরোপার জন্য লড়াই করা। তবে আপাতত আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য সেমি-ফাইনালে ওঠা।”