কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শুক্রবার তৃতীয় রাউন্ডে আলো ছড়িয়েছেন দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান। দুলাল হোসেন, জামাল হোসেনও লিডারবোর্ডে এগিয়েছেন।
পারের সমান শট খেলে যৌথভাবে ২৯তম হয়ে প্রথম রাউন্ড শেষ করা সিদ্দিকুর দ্বিতীয় রাউন্ডে ছয়টি বার্ডি ও একটি বোগি করে যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে ছিলেন। তৃতীয় রাউন্ডে করেছেন ছয়টি বার্ডি ও তিনটি বোগি। সব মিলিয়ে পারের চেয়ে আট শট কম খেলে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে থাকা সিদ্দিকুর অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন শেষ রাউন্ডের দিকে।
“(দুটি বোগি দিয়ে দিন) শুরুটা খারাপ বলব না; এটা খেলারই অংশ; বরং এটা আমাকে পরে আরও গতি দিয়েছে। আমার মনে হয়, আমি ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আরও একদিন আছে। শেষ দিনের রোমাঞ্চের জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।”
“লিডারবোর্ডে শীর্ষে থাকাদের দিকে না খেয়াল করলে ভালো হবে। আমার মনে হয়, নিজের খেলার দিকে দৃষ্টি দিই; তাহলে যেকোনো কিছু হতে পারে। চাপ থাকতে পারে কিন্তু আমি আসলে সেটা নিচ্ছি না।”
“শেষ দিনে কাভার করা সম্ভব, তবে আমাকে খুবই ভালো খেলতে হবে। কেননা, তারাও ভালো খেলবে। এটা পুরোই ছন্দের ওপর নির্ভর করে। আমরা খেলোয়াড়রা শরীরের ছন্দ বুঝতে পারি। তো ছন্দ, সুইং সবকিছু যদি ঠিক থাকে, তাহলে প্রাণপণ চেষ্টা কেন নয়?”
“যে লক্ষ্য ছিল, তা হয়নি। পারের চেয়ে সাত আট কম খেলার লক্ষ্য ছিল, কিন্তু হলো তিনটা। শেষ শটগুলো হোলের কাছে এসে ঘুরে যাচ্ছে। আসলে এটা দুর্ভাগ্য। চাপ নেওয়ার কারণে নয়। চারটা হোলে এরকম হয়েছে। সেটা না হলে কিন্তু আমি আজ পারের চেয়ে সাত শট কম খেলতাম।”
তিন রাউন্ড মিলিয়ে পারের সমান শট খেলে দুই জনের সঙ্গে যৌথভাবে ২৮তম স্থানে আছেন জামাল। তৃতীয় রাউন্ডে চারটি করে বার্ডি ও বোগি করা এই গলফার আগের রাউন্ডে চার জনের সঙ্গে যৌথভাবে ৩১তম স্থানে ছিলেন।
“আজও খেলাটা ইচ্ছা মতো হয়নি। চারটি বার্ডি মারলাম, চারটি বোগিও করলাম। কিন্তু কি আর করা? শেষ রাউন্ডের দিকে তাকিয়ে আছি। এক কথায় প্রাণপণ খেলব। যা হওয়ার হবে।”