১৯টি দেশের ১৩৩ জন প্রতিযোগী নিয়ে বুধবার শুরু হচ্ছে বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেনের তৃতীয় আসর। মঙ্গলবার কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে অনুশীলনের ফাঁকে ফাঁকে তিন লাখ ডলার প্রাইজমানির এই আসর নিয়ে নিজেদের লক্ষ্যটা জানান রশিদ, সিং, সিদ্দিকুর রহমান, সোহেল, জামালরা।
২০১৫ সালের বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেনে খেলা রশিদ খান আলো ছড়াতে পারেননি। সেবার দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে পড়েছিলেন ভারতের এই গলফার। এশিয়ান ট্যুরের দুটি শিরোপা জেতা ২৫ বছর বয়সী গলফারের মনে হচ্ছে কুর্মিটোলার কোর্সে এবার তার সময়টা দারুণ কাটবে।
চার রাউন্ড মিলিয়ে পারের চেয়ে ১৫ থেকে ১৬ শট কম খেললে এবার শিরোপা জেতা সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
“সিদ্দিকুরের এটা হোম কোর্স। সোহেল এখানে ভালো করেছে আগের টুর্নামেন্টগুলোয়। এটা আসলেই তাদের জন্য ভালো খেলার এবং এশিয়ান ট্যুরে ক্যারিয়ার তৈরির ভালো সুযোগ। বিশেষ করে সোহেল, জামাল তাদের জন্য আমার শুভকামনা থাকবে। আমি মনে করি, তাদের এই সপ্তাহের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।”
সে দৃষ্টি দিতে প্রস্তুত গতবার ষষ্ঠ হওয়া বাংলাদেশের গলফার শাখাওয়াত সোহেল। গত এক মাস কোচ ও মনোবিদের সঙ্গে নিজের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট এই গলফার জানালেন, গতবারের ফল অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে তাকে।
“লক্ষ্য একটাই, নিজের সেরাটা দেওয়া। সেটা দিতে পারলে এবং শারীরিকভাবে ফিট থাকলে চ্যাম্পিয়নের ট্রফিটাই আশা করছি। এছাড়া সিদ্দিক ভাইয়ের কথা না বললেই নয়, দুলালও ভালো করছে। বিদেশিদের মধ্যে জিব মিলখা সিং আছে, রশিদ খান আছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকেও অনেকে এসেছে; থাইল্যান্ডের সুতিজেত আছে, এরা থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।”
গতবার সপ্তম হওয়া জামাল হোসেনও সুর মেলালেন সোহেলের সঙ্গে, “লক্ষ্য একটাই শিরোপা জেতা। ঘরের মাঠের এই টুর্নামেন্ট সামনে রেখে এতদিন অনুশীলন করেছি। এখন কোর্সে নিজের সেরাটা দেওয়ার পালা। কোনো চাপ নিচ্ছি না। আশা করি, সবার দোয়ায় সেরাটা দিতে পারব।”
বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেনের প্রথম আসরের শিরোপা জিতেছিলেন সিঙ্গাপুরের মারদান মানাত। এবারও তিনি ফেভারিট। গত আসরের সেরা থাইল্যান্ডের থিতিফুন চুয়াইপ্রাকং। দ্বিতীয় হয়েছিলেন তারই স্বদেশি সুতিজেত কুরাতানাপিসান। থিতিফুন আসেননি; সুতিজেত এসেছেন। তবে দুলাল হোসেনের বিশ্বাস ট্রফি এবার দেশেই থাকবে।
সিঙ্গাপুর ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে পড়া দিয়ে সিদ্দিকুরের ২০১৭ সাল শুরু। অনুশীলনের ফাঁকে এশিয়ান ট্যুরের এই গলফারও জানালেন কুর্মিটোলায় গতবার ৩৫তম হওয়ার ব্যর্থতা এবার ঝেড়ে ফেলতে চান।
“এবার আমি ভাল প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি, নিজের সেরাটা দিতে পারবো এবং ট্রফি রাখতে পারবো। এবার কোর্স এবং আবহাওয়া সবই আমরা উপভোগ করতে পারব।”
সিদ্দিকুর-সোহেলদের চাওয়া পূরণের সামনে অন্যতম বাধা জিব মিলখা সিং। ছয়টি এশিয়ান ট্যুর ও চারটি ইউরোপিয়ান ট্যুর জেতা ৪৫ বছর বয়সী এই গলফার অবশ্য সিদ্দিকুরদের মনে করিয়ে দিয়েছেন সাফল্য পাওয়ার চিরন্তন সূত্রটা, “শিরোপা জিততে হলে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে; চার দিনই ভালো খেলতে হবে।”