অর্জনের ভাণ্ডারে অষ্টাদশ গ্র্যান্ড স্ল্যাম যোগ করে সুইজারল্যান্ডের এই তারকা প্রমাণ করলেন, সঠিক চিন্তাধারাতেই ছিলেন তিনি।
হাঁটুর চোটের কারণে গত বছর রিও অলিম্পিক ও ইউএস ওপেনে খেলতে পারেননি ফেদেরার। কিন্তু ছয় মাস বাইরে থাকার পর প্রথম প্রতিযোগিতাতেই ফিরলেন দুর্দান্ত রূপে।
মেলবোর্ন পার্কে পাঁচ সেটে গড়ানো ফাইনালে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে তুলে ধরেন পঞ্চম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা। ২০১২ সালের উইম্বলডন জেতার সাড়ে চার বছর পর জিতলেন আরেকটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম।
“কখনই কোনো কিছুর নিশ্চয়তা ছিল না কিন্তু আমি সবসময় ইতিবাচক ছিলাম।”
“মূল বিষয়টা ছিল শান্ত থাকা। বিশ্বাস রাখা যে, কাজ করে গেলে ফল আসবে এবং আমার খেলায় যে বৈচিত্র্য আছে তা দিয়ে হয়তো আমি একটি বা দুটি (গ্র্যান্ড স্ল্যাম) জিততে পারব।”
চোট পেয়ে ছিটকে পড়ার আগ পর্যন্ত পারফরম্যান্স ভালো থাকাটাও আত্মবিশ্বাস থাকার অন্যতম কারণ বলে জানান ফেদেরার। ২০১৫ সালে দুই গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ও ২০১৬ সালে দুটির সেমি-ফাইনালে খেলেছিলেন তিনি।
“সত্যিই আমার বিশ্বাস ছিল যে, আমি জিততে পারি। প্রশ্নটা ছিল নোভাক (জোকোভিচ) কেমন খেলবে, অ্যান্ডি (মারে) কেমন খেলবে, রাফা এবং সবাই কেমন খেলবে।”
“আমি জানতাম যে, এটা কঠিন হবে কারণ তাদের ফর্ম খারাপ হচ্ছে না এবং আমার বয়স হয়ে যাচ্ছে। তাই আমার হাতে বেশি সময় নেই।”
গ্র্যান্ড স্ল্যামের ঐতিহ্য মেনে সোমবার হয় চ্যাম্পিয়ন ফেদেরারের ফটোসেশন। কিন্তু তার চোখে ছিল ক্লান্তির ছাপ।
“জেগে উঠলাম, আমি আসলে ঘুমিয়েছিলাম কিনা জানি না। ম্যাচ কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল সেটা মনে রাখতে এর হাইলাইটস আমাকে আবার দেখতে হয়েছে।”