মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে হওয়া আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টে একটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জও পেয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার রিকার্ভের পুরুষ দলগত ইভেন্টে ৬-২ সেট পয়েন্টে ভুটানকে হারায় বাংলাদেশ। দলে ছিলেন রোমান সানা, সারোয়ার হোসেন ও তামিমুল ইসলাম।
রিকার্ভের ব্যক্তিগত ইভেন্টে না পাওয়ার হতাশা কিছুটা হলেও দলীয় সাফল্য দিয়ে ঘোচানোর তৃপ্তি আছে তামিমুলের। ২০১৫ সালে যুব কমনওলেথ গেমসের সোনা জেতা এই তীরন্দাজ জানালেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল পেয়েছেন তারা।
“ব্যক্তিগত ইভেন্টে পারিনি। শারীরিক অসুস্থতা ছিল। যখন একটু সুস্থতা ফিরে পেলাম, তখন মনে হলো দলীয়টা তো আছে; এটা কেন পারব না? দেশের মাটিতে খেলা, আমরা তিনজনই ভালোভাবে নিজেদের কাজগুলো করতে পেরেছি। এ কারণেই সাফল্য এসেছে।”
নাজমুল জানালেন, দর্শক সমর্থন পাওয়ায় তাদের জন্য কাজটা সহজ হয়েছে। তার সতীর্থ মামুন বলেন, “মালয়েশিয়া আমাদের চেয়ে ভালো দল। কিন্তু আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল, আমরা জিতব।”
কম্পাউন্ডে পুরুষ এককে ব্রোঞ্জ জেতা মিলন এ নিয়ে দ্বিতীয় পদক পাওয়ার আনন্দে ভাসছেন।
“এটাই আমার প্রথম আন্তর্জাতিক গেম। এর আগে ব্রোঞ্জ জিতেছি; সেটাও ছিল প্রথম পদক পাওয়া। এবার সোনা জিতলাম; এটাও প্রথম। আগামীতে আরও ভালো করার চেষ্টা করব আমি।”
ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্যর্থ হলেও রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকে খেলা শ্যামলী রায় পেয়েছেন দলগত সোনা জয়ের স্বাদ। রিকার্ভের মহিলা দলগত ইভেন্টের ফাইনালে বিউটি রায় ও রাদিয়া আক্তার শাপলাকে নিয়ে ৬-২ সেট পয়েন্টে হারিয়েছেন নেপালের প্রতিযোগীদের।
রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড বিভাগের মিশ্র দলগত দুই ইভেন্টের সোনাও জিতেছে বাংলাদেশ।
রোমান ও বিউটি রিকার্ভের মিশ্র দলগত ইভেন্টে ৬-২ ব্যবধানে ভুটানের প্রতিযোগীদের হারান।
আর সুস্মিতা-মামুন ১৫০-১৪২ স্কোরে ইরাককে হারিয়ে দলকে এনে দেন কম্পাউন্ডের মিশ্র দলগত সোনা।
দিনের শুরুতে হীরা মনি আজারবাইজানের প্রতিপক্ষকে হারিয়ে মেয়েদের রিকার্ভ ডিভিশনের এককের সোনা জয় করেন।
মেয়েদের কম্পাউন্ড এককের ফাইনালে ইরাকের ফাতিমাহ আল মাসাদানির কাছে ১৩৫-১৩৩ স্কোরে হেরে রুপা জিতেন বন্যা আক্তার।
গত শনিবার ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন মিলন মোল্লা ও সুস্মিতা বণিক।