নাদালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ফেদেরার

আরেকটি দ্বৈরথ, আরেকটি রোমাঞ্চকর ম্যাচ। পাঁচ সেটের লড়াইয়ে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতেছেন রজার ফেদেরার। প্রায় পাঁচ বছর পর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন সুইজারল্যান্ডের এই কিংবদন্তি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Jan 2017, 12:21 PM
Updated : 29 Jan 2017, 01:40 PM

রোববার মেলবোর্ন পার্কের রড লেভার অ্যারেনায় তিন ঘণ্টা ৩৭ মিনিটের লড়াইয়ে ৬-৪, ৩-৬, ৬-১, ৩-৬, ৬-৩ গেমে জিতেন ১৭তম বাছাই হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করা ফেদেরার। হাঁটুর চোটের কারণে ছয় মাস পর এই টুর্নামেন্ট দিয়ে কোর্টে ফেরেন ৩৫ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।

ফেদেরারের সার্ভিসেই অনেকটা কাবু হয়ে পড়েন নাদাল। এই ম্যাচে মোট ২০টি এইস করেন ফেদেরার, নাদালের এইস মাত্র চারটি।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ফেদেরারের এটা পঞ্চম, সবমিলিয়ে অষ্টাদশ গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। ইতিহাসের প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে চার গ্র্যান্ড স্ল্যামের তিনটিতে পাঁচবার করে চ্যাম্পিয়ন হলেন ফেদেরার।

গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে নাদালের সঙ্গে মোট নয়বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ফেদেরারের এটা তৃতীয় জয়। এর আগে সবশেষ ২০০৭ সালের উইম্বলডনের ফাইনালে জিতেছিলেন সুইস তারকা।

গত দুই বছর বারবার চোটে পড়া নাদাল নবম বাছাই হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করেন। সেমি-ফাইনালে চার ঘণ্টা ৫৬ মিনিটে পাঁচ সেটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে গ্রিগর দিমিত্রভকে হারিয়ে ফাইনালেও দারুণ কিছুর সম্ভাবনা জাগান ১৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা এই স্প্যানিয়ার্ড।

গত ১৩ বছরে ফেদেরারের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান ছিল নাদালের পক্ষে। দুর্দান্ত লড়াইও করলেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে উঠলেন না। এই নিয়ে ৩৫ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ফেদেরার জিতলেন ১২টি, নাদালের জয় ২৩টি।

সাম্প্রতিক সময়ে কবজির চোটে ভোগা নাদাল ম্যাচ শেষে পুরনো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার কথা জানান।

শুরুতেই ফেদেরারকে অভিনন্দন জানিয়ে ৩০ বছর বয়সী নাদাল বলেন, “আজ এখানে থাকতে আমি কঠিন পরিশ্রম করেছি। আমি অনেক লড়াই করেছি, আজ সম্ভবত আমার চেয়ে এটা রজারের বেশি প্রাপ্য ছিল।”

“আমি চেষ্টা করে যাব। আমার মনে হচ্ছে যে, আমি অনেক উঁচু মানে ফিরে এসেছি।”

৩৫ বছর বয়সে আবারও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে উচ্ছ্বসিত ফেদেরার সবাইকে ধন্যবাদ জানালেন। শোনালেন আবারও এখানে ফেরার আশার কথা।

“প্রায় ২০ বছর ধরে আমি এখানে আসছি। আমি সবসময়ই এখানে খেলা উপভোগ করেছি আর এখন আমার পরিবারও তাই করছে।”

“সবকিছুর জন্যে সবাইকে আবারও ধন্যবাদ। আশা করি, আগামী বছর আবারও দেখা হবে। যদি না হয়, তাহলে এটা চমৎকার একটা পথচলা ছিল।”