আগামী মার্চে ঢাকায় হবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। তার আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে গড়াবে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের দ্বিতীয় আসর। ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই ধাপে অনুশীলন সেরে ক্যাম্প থেকে টুর্নামেন্টে খেলতে ক্লাবগুলোয় যাবে খেলোয়াড়রা।
প্রথম ধাপের অনুশীলন ক্যাম্প থেকে চোটের কারণে এরই মধ্যে ছিটকে গেছেন ফরোয়ার্ড আতিকুর রহমান ফাহাদ। জ্বর আর পেটের সমস্যায় ক্যাম্পে যোগ দেননি আরেক ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন। চোট নিয়েই ক্যাম্পে থাকা শাখাওয়াত হোসেন রনি হালকা অনুশীলনে পার করছেন দিন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে কোচ জিলানী অবশ্য ফিটনেসের ঘাটতি থাকা ফুটবলারদের তালিকাটা জানালেন না। তবে তার কথাতে পরিষ্কার, এ মুহূর্তে শতভাগ ফিটনেস নেই কারো।
“এ কয়দিন গ্রুপে ভাগ হয়ে সবাই ট্রেনিং করেছে। কয়েকদিন পর ইনডিভিজুয়াল ট্রেনিং হবে, তখন আসলে বোঝা যাবে কার ফিটনেসের অবস্থা কেমন। যদি কেউ পুরোপুরি ফিটনেস ফিরে না পায়, তাহলে সে দ্বিতীয় ধাপের ক্যাম্পে থেকে যাবে।”
পায়ের পেশির চোট নিয়ে ক্যাম্পে থাকা রনি অকপটেই জানালেন, দ্বিতীয় ধাপের ক্যাম্পের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
“মাংসপেশিতে একটু ব্যাথা আছে। তাই আস্তে আস্তে অনুশীলন বাড়াব। প্রথম ধাপে যদি রিকোভার না হয়, তাহলে দ্বিতীয় ধাপেও অনুশীলন করব।”
গত লিগে পাঁচ গোল করা দুই ফরোয়ার্ড রনি ও জীবনের এ মুহূর্তে জাতীয় দলের মূল ফরোয়ার্ড। জীবন ক্যাম্পের বাইরে থাকায় রনির ফিটনেস ফিরে পাওয়াটা কোচের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি। জিলানীও শেখ রাসেলের এই ফরোয়ার্ডের দ্রুত শতভাগ ফিটনেস ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
“রনির আবার একটু চোট পেয়েছে। সে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছে। হালকা চোট নিয়েই সে ক্যাম্পে এসেছিল। ফিটনেস ফিরে পেতে সময় লাগবে। তবে আশা করি বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আগে দলে ফিটনেসের যে একটু-আধটু সমস্যা আছে; তা পুরোপুরি ঠিক হয়ে যাবে।”